Site icon Jamuna Television

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে নিহত নাহেলের দাফন সম্পন্ন

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস থেকে সংগৃহীত ছবি।

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে নিহত আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি কিশোর নাহেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় বিক্ষোভ ছড়ানো শহরগুলোকে। তবুও, শনিবার অব্যাহত ছিলো দেশব্যাপী দাঙ্গা-সহিংসতা। খবর বিবিসির।

শনিবার (২ জুলাই) প্যারিসের নতে’র ইবনে বাদিস মসজিদে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় নাহেলের। জানাজায় ৩০০ জন জমায়েত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহেলের বন্ধুরা জানান, আমরা মনে করি, ওকে দুইবার খুন করা হয়েছে। প্রথমবার, গুলি করে। আর দ্বিতীয়বার ও চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। খুবই হাসিখুশি ছেলে ছিল নাহেল। রাগবি খেলতে ভীষণ পছন্দ করতো, ইলেক্ট্রিশিয়ানের ট্রেনিং নিচ্ছিলো এবং ও বেশ ভাল করছিলো। নাহেলের মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকতো। এভাবে নিজের বন্ধুকে হারানোর আগে আপনি কখনই বুঝতে পারবেন যে এমন কিছু ঘটে গেলে আসলে কেমন লাগে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাহেলের প্রতিবেশি বলেন, আমি নাহেলের মাকে চিনি। আমি ভাবতেও পারছি না ওর কেমন লাগছে। আজ নাহেলের জায়গায় আমার ছেলেও থাকতে পারতো। রাজনীতিকরা অনেকেই বলছেন যে, টিনএজাররা পাগল হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারছি আমাদের বাচ্চারা কেনো এমন আচরণ করছে। ওদের যে কেউই আজকে নাহেলের জায়গায় থাকতে পারতো। আসলে এমনটা করা ছাড়া ওদেরও কোনো উপায় নেই।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাতে দেশজুড়ে গ্রেফতার হয়েছে সাত শতাধিক বিক্ষোভকারী। সবচেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিলো মার্সেই শহরে। শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। দক্ষিণ ফ্রান্সের এ শহরটি থেকে গ্রেফতার করা হয় অন্তত ৫৬ জনকে।

তবে, তুলনামূলক শান্ত ছিলো প্যারিসের পরিস্থিতি। শনিবার রাজধানীজুড়ে বাড়ানো হয় পুলিশি টহল। এদিন, বিক্ষোভকারীদের রাজপথে সংগঠিত হবার সুযোগ দেয়নি নিরাপত্তা বাহিনী। সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধ রাখা হয় গণপরিবহন। সহিংসতার চেষ্টা করলে গ্রেফতার করা হয় ১২৬ জনকে।

/এসএইচ

Exit mobile version