Site icon Jamuna Television

জেনিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি

ছবি: রয়টার্স থেকে সংগৃহীত

দখলকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ছোট্ট ক্যাম্পটিতে অন্তত ১৪ হাজার ফিলিস্তিনির বসবাস। খবর রয়টার্সের।

হামলা শুরুর পর মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ হাজারের বেশি বাসিন্দা। অভিযান অব্যাহত থাকলে পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা জানানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাদের হামলা-সহিংসতায় এখনো উত্তপ্ত জেনিন। আকাশপথে অব্যাহত বিমান ও ড্রোন হামলা আর সড়কে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করছে দখলদাররা। তাদের বর্বরতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে পালিয়ে যাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। হামলা আতঙ্কে মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁইটুকুও ছাড়তে হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা বাসিন্দাদের।

ছবি: রয়টার্স থেকে সংগৃহীত

ফিলিস্তিন রেডক্রস বলছে, ১৪ হাজার বাসিন্দার ওই ক্যাম্প ছেড়ে স্থানীয় হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, কয়েকজন এসে জানালো সেনারা বাড়ির আশপাশে অবস্থান করছে। আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। জামাকাপড়, টাকা-পয়সা ছাড়াই এই হাসপাতালে এসে আশ্রয় নিয়েছি। ঠিক ২০০২ সালের মতো করেই তারা এবার আক্রমণ চালিয়েছে।

পালিয়ে আসা আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনারা চারিদিক থেকে ক্যাম্প ঘিরে ফেলে। বুলডোজার দিয়ে সব ধ্বংস করে দিয়েছে। এসবে আমরা ভয় পাই না। নতুন করে এই রাস্তা আবার তৈরি হবে। তারা বরং আমাদের উপকারই করলো।

এদিকে ভয়াবহ আগ্রাসনের মধ্যে ক্যাম্পেই আটকা পড়েছেন অনেকে। ভীতি নিয়ে হামলা আতঙ্কে সেখানেই সময় গুনছেন তারা। এছাড়া অভিযানের কারণে জেনিনের বড় অংশে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়ে বিপত্তি বেড়েছে বহুগুণ।

সোমবার (৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে সন্ত্রাসী আস্তানা টার্গেটের নামে জেনিনের শরণার্থী শিবিরে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই দশকের মধ্যে এটি দখলদারের সবচেয়ে বড় আগ্রাসন।

এএআর/

Exit mobile version