Site icon Jamuna Television

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত অন্তত ১৪

দ্য হিন্দু থেকে সংগৃহীত ছবি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ঘিরে নজিরবিহীন সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৪ জনের; আহত হয়েছে শতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনে অনিয়ম-সহিংসতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে দল দু’টি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

শনিবার (৮ জুলাই) দিনভর কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মতো অনিয়ম দেখা গেছে রাজ্যজুড়ে।

এদিন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সহিংসতায় উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। ব্যালট বাক্সের দখল নিয়ে দফায়-দফায় সংঘাতে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি’র নেতাকর্মীরা। দুই দলের বিরুদ্ধেই রয়েছে অনিয়ম, জাল ভোট দেয়া ও সহিংসতার অভিযোগ। কোথাও কোথাও পোলিং বুথে আগুন দেয়া ও কেন্দ্র ভাঙচুর করে দখলের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। পাল্টাপাল্টি হামলায় দু’পক্ষেই ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেকটা অসহায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী।

জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, রেজিনগর, বেলডাঙ্গা’সহ বেশ কিছু এলাকায় শুরু হয় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল মুর্শিদাবাদে। লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি ছাড়াও গোলাগুলি-বোমাবাজির মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। ভোটদানে বাধা দেয়া দিয়ে নির্বাচন বানচালের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনে তৃণমূল-বিজেপি, দুপক্ষই।

তৃণমূলের দাবি, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই রাজ্যজুড়ে সহিংসতা চালিয়েছে বিজেপি। অপরদিকে, একে প্রহসনের ভোট আখ্যা দিয়েছে বিরোধী শিবির।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আজ যা হয়েছে তা ভোট না, লুটপাট। পুরা রাজ্যে সহিংসতা হয়েছে। কোথাও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সহিংসতায় প্রাণ যায় ২৩ জনের। সেবার বেশিরভাগ আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।


/এসএইচ

Exit mobile version