Site icon Jamuna Television

রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্কে পদ্মা-গড়াই পাড়ের মানুষ, ৮ মাসে উদ্ধার ৭টি সাপ

কুষ্টিয়ার পদ্মা-গড়াই পাড়ের বাসিন্দাদের নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। মহাবিপন্নের তালিকায় থাকলেও গত আট মাসে প্রায় সাতটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে এ অঞ্চলে। কামড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে এই সাপ হত্যা না করার আহ্বান প্রাণী বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে চিকিৎসকরা আধুনিক চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহতদের একজন জাহিদ প্রামাণিক। চারদিন ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ তিনি। জেলায় বিষধর সাপের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত নদী পাড়ের মানুষ।

রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যন্ত বিষধর রাসেল ভাইপার প্রায় দেড় যুগ ধরে মহাবিপন্ন শ্রেণিভুক্ত। দেশে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত।

বিবিসিএফের সাধারণ সম্পাদক এস আই সোহেল বলেন, সাপটিকে অনেকে অজগরের বাচ্চা মনে করছে। ফলে পোষার জন্য অনেকেই সাথে নিয়ে যায়। দেখতে অজগরের মতো হলেও সাপটি যে কতোটা বিষধর অনেকেই জানে না। সবার সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, এই সাপের কামড়ে অল্প সময়ের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া অঙ্গহানী, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে। তাই কামড়ের পর সাপটি চিনতে পারলে দ্রুত চিকিৎসসা নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু এই প্রজাতির সাপ এই অঞ্চলে আবারও কীভাবে ফিরে আসছে, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।

এটিএম/

Exit mobile version