Site icon Jamuna Television

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হতে চলেছে বাস্তব, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়বে ‘ফ্লাইং কার’

যানযটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে ফ্লাইং কার ওড়ানোর স্বপ্ন সত্য হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্র। ফ্লাইং কারের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বাস্তব রূপ দিতে এ ফ্লাইং কার তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি অ্যালেফ অ্যারোনটিক্স। পরীক্ষা সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ন্ত গাড়ির চলাচল হবে স্বাভাবিক দৃশ্য। খবর বিবিসির।

ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক অ্যালেফ অ্যারোনটিক্স নামের একটি কোম্পানিকে ফ্লায়িং কারের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রথম এই উড়ন্ত গাড়ি হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদন পেলো এটি। এ বিষয়ে অ্যালেফ অ্যারোনটিক্সের সিইও জিম দুখোভনি বলেন, প্রথমবারের মতো কোনো ফ্লাইং কারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও পরীক্ষা চালানোর জন্য আমাদের নির্দিষ্ট স্থান বেধে দেয়া হয়েছে। সীমিত সময় ও নিরাপদ স্থানে গাড়িটি ওড়ানোর অনুমতি পেয়েছি আমরা।

২০২২ সালে প্রথম সামনে আনা হয় পরবর্তী প্রজন্মের অত্যাধুনিক এই ফ্লাইং কার। সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক এই গাড়িটি সড়ক এবং আকাশ উভ্য়পথেই চলতে সক্ষম। সড়কপথে যানযট বা কোনো দুর্ঘটনার কারণে যান চলাচল থেমে গেলে, উড়ন্ত এই গাড়ি উড়ে উড়েই পার হবে সেই বাধা। একবার চার্জ দিলে গাড়িটি আকাশপথে ১৭৭ কিলোমিটার এবং সড়কপথে ৩২২ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। আরোহী হতে পারবেন সর্বোচ্চ দু’জন। এই গাড়ির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ডলার।

এই গাড়ি সম্পর্কে জিম দুখোভনি আরও বলেন, গাড়িটি মাটি থেকে উলম্বভাবে উপরে উঠে যায় এবং চালক ও যাত্রীর দুই পাশে দুইদিক পাখা হিসেবে কাজ করে। আরোহীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো হেলিকপ্টার বা বিমানের চেয়ে নিরাপদ করার চেষ্টা করছি আমরা। গাড়িটি কীভাবে কাজ করে তার সবকিছু শিগগিরই মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা হবে।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ব্যক্তি ও করপোরেট পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছ থেকে এরই মধ্যে চার শতাধিক আগাম অর্ডার পেয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ গ্রাহকরা উড়ন্ত গাড়ি হাতে পাবেন বলে প্রত্যাশা কোম্পানিটির।

এসজেড/

Exit mobile version