Site icon Jamuna Television

রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণায় দুবাইয়ে মানবিক সংকটে অন্তত ৩০ বাংলাদেশি

রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে দুবাইয়ে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন অন্তত ৩০ বাংলাদেশি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে এসব বাংলাদেশির কাছ থেকে নেয়া হয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। তবে দুবাইয়ে পৌঁছানোর পর কারোরই কাজ মেলেনি। আর্থিক সংকটে পড়া এসব বাংলাদেশিদের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। এরই মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে ক্রমেই অনিশ্চয়তা বাড়ছে ভুক্তভোগীদের।

রিক্রুটিং এজেন্সি ফাঁদে পড়ে দুবাইতে যাওয়া এসব বাংলাদেশিদের কোনো রকমে থাকার ব্যবস্থ করা হয়েছে ছোট্ট একটি ঘরে। সেখানে গাদাগাদি করে ৩০-৪০ জন দিন পার করছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। ভুক্তভোগীরা বলেন, নিয়মিত খাবার পাওয়া এখানে এখন স্বপ্নের মতো। খাবারের অভাবে শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ছেন তারা। এদিকে বড় অংকের ঋণ নেয়ায় বাড়িতেও ফিরতে পারছেন না। এ অবস্থায় আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথই খোলা নেই জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এক ভুক্তভোগী।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে এসব কর্মীরা যোগাযোগ করলেও কোনো সমাধানই মেলেনি। বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বাংলাদেশি কিছু নীতিহীন রিক্রুটিং এজেন্সি এ ধরনের প্রতারণা করছে। দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, বহু ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেক কোম্পানির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না। এ বিষয়গুলো আমাদের কাছে আসার পরই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিই।

এ পরিস্থিতিতে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসতে ইচ্ছুক কর্মীদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কনস্যুলেট। বিপদগ্রস্তদের সহায়তায় দূতাবাস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান বিএম জামাল হোসেন। তিনি বলেন, অবশ্যই চূড়ান্ত লেনদেনের আগে কোম্পানিগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দীর্ঘদিন শ্রমিক ভিসা বন্ধ থাকার পর আবারও খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই বেড়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। আর চরম বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এসজেড/

Exit mobile version