Site icon Jamuna Television

ভারতের উত্তরাঞ্চলে বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি প্রায় ১০০, আটকা পড়েছে কয়েকশ’ পর্যটক (ভিডিও)

ভারতের উত্তরাঞ্চলে লাগাতার বৃষ্টি-বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি পৌঁছেছে ১০০ এর কাছাকাছি। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত শুধু হিমাচল প্রদেশেই ৭২ জনের প্রাণ গেছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নীচু এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। এর ফলে উদ্ধার তৎপরতা আরও চ্যালেঞ্জিং হবে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ফোর্স। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

হিমাচল প্রদেশের রাজ্য প্রশাসনের তথ্য বলছে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত, বন্যা আর পাহাড়ি ধসে ৭৮৫ কোটি রুপির বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। উদ্ধার পাওয়া দেড় শতাধিক মানুষের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল নয়। বন্যার কারণে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। তাদের সরানোর প্রতিই মনোযোগ দিচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে কুল্লুর ডিসি আশুতোষ গর্গ বলেন, রাস্তাঘাট সংস্কারে অনেকদিন সময় লাগবে। আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ফেরানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তাতে দুর্গত এলাকায় আটকা পড়া মানুষজন অন্তত সাহায্যের বার্তা পাঠাতে পারবেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতায় তল্লাশি চলছে। গত দেড়দিনে অর্ধ শতাধিক মানুষকে পর্যটন এলাকাগুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, বন্যা কবলিত হরিয়ানার হাতিনাকুন্ডু জলাধার থেকে প্রতিতিন ভাটিতে নেমে আসছে এক লাখ কিউসেক মিটারের মতো পানি। যার ফলে যমুনার পানির স্তর বাড়ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কার্যক্রম শুরু করেছে দিল্লি সরকার।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

এ বিষয়ে নয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, যমুনা নদীর জলস্তরের উচ্চতা ২০৬ মিটার ছাড়িয়েছে। জোরালো করা হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। বিশেষভাবে নদীর দুই উপকূলের বস্তিবাসীরা অগ্রাধিকার পাবেন। ঝুঁকিতে থাকা ৪১ হাজার মানুষকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, তাদের জন্য আশ্রয় শিবির এবং পুর্নবাসন ক্যাম্প প্রস্তুত।

বন্যা কবলিত এলাকার আরও একটি ভিডিও দেখুন

উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বন্যার সাথে বাড়ছে ভূমিধসের ঘটনাও। এ পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালানোটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এনডিআরএফ এর ডিআইজি মোহসেন শাহিদি বলেন, পাঞ্জাবে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী এনডিআরএফ এর ১৫টি দল পাঠানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে রয়েছে ১২টি দল এবং হিমাচল প্রদেশে কাজ করছে ১১টি জরুরি টিম। জলাধারগুলো থেকে পানি ছাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে। সে সময় দুর্যোগ মোকাবেলা করাটাই চ্যালেঞ্জ।

এদিকে, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত বহাল থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর। তাতে হিমাচল-উত্তরাখাণ্ডের পাশাপাশি বন্যাকবলিত হতে পারে রাজধানী নয়াদিল্লি, জম্মু-কাশ্মির, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা।

এসজেড/

Exit mobile version