Site icon Jamuna Television

যে পাঁচটি সিনেমা ভ্রমণপিপাসুদের অবশ্যই দেখা উচিত!

ছবি: ইন্টারনেট ঘেকে সংগৃহীত

আল মাহফুজ:

পৃথিবীতে ভ্রমণ বিষয়ক অগণিত সিনেমা নির্মিত হয়েছে। আবহ, রুচি বা মুডভেদে একেক জনের কাছে একেক রকম সিনেমা ভালো লাগে। যে সিনেমাকে আপনি পছন্দের তালিকায় স্থান দেন, সেটাকে হয়তো অন্য কোন সিনেমাপ্রেমি বিবেচনাতেই রাখেন না। ভালোলাগা, মন্দলাগা তো একপ্রকার আপেক্ষিক বিষয়। এমনটা ঘটাই তাই স্বাভাবিক। পাঠকের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় কিছু ট্রাভেল মুভির গল্পপরিচিতি দেয়া হলো–

১. ইনটু দ্য ওয়াইল্ড (২০০৭)
শুরুতেই ‘ইনটু দ্য ওয়াইল্ড’ সিনেমার কথা চলে আসে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে পরিবার, বাড়িঘর, শহুরে আরাম আয়েশের ল্যাঠা চুকিয়ে একজন দৃঢ়চেতা রোমাঞ্চপ্রিয় যুবকের ভবঘুরের জীবন বেছে নেয়া। একাকী, অজানার উদ্দেশে, প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে। যে সুপারট্রাম্প সমাজের মুখস্ত সামাজিকতা থেকে মুক্তি চায়। মনে প্রবলভাবে দাগ কেটে যাবার মতো এক সিনেমা।

২. দ্য মোটরসাইকেল ডায়রিজ (২০০৪)
তারপর বলা যায় ‘দ্য মোটরসাইকেল ডায়রিজ’ সিনেমার নাম। এটি বিপ্লবী চে গুয়েভারার জীবনীর কিয়দাংশ। যে সময়টাতে মেডিকেল স্টুডেন্ট চে তার বায়োকেমিস্ট বন্ধু গ্রানাডোকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চষে বেড়ায় দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। নষ্ট মোটরসাইকেল, কপর্দকশুন্য পকেট; তবু মাসের পর মাস চলতে থাকে বন্ধুর পথচলা। গায়েল গার্সিয়া বার্নাল অভিনীত এক অনবদ্য সিনেমা।

৩. কন-তিকি (২০১২)
এরপর আসা যাক ‘কন-তিকি’ আলাপে। এটি অনতিক্রম্য মহাসাগর পাড়ি দেবার চোয়ালবদ্ধ সঙ্কল্পের গল্প। সিনেমাটিতে একদল পাগলাটে এক্সপ্লোরারের বিস্ময়কর কাহিনী দেখা যায়। একমাত্র সম্বল কাঠের ভেলায় ভর করে প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় চার হাজার তিন শত মাইল পথ পাড়ি দেয় তারা। যা রূপকথার মতো শোনায়। কন-তিকি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি স্ক্যান্ডেনেভিয়ান সিনেমা।

৪. ওয়ান টোয়েন্টি সেভেন আওয়ার্স (২০১০)
‘ওয়ান টোয়েন্টি সেভেন আওয়ার্স’ সিনেমার নাম শুনে থাকবেন অনেকেই। অনেকের কাছে, এটি ট্রাভেল জনরায় বেস্ট সারভাইভাল সিনেমা হিসেবে পরিচিত। টগবগে এক তরুণ পর্বতারোহীর পাহাড়ের ফাঁদে আটকে পড়া, মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা এবং তা থেকে উত্তরণের নিরন্তর প্রচেষ্টা। ছবিটি সুকান্তের পংক্তিগুলোকে বারবার মনে করিয়ে দেয়। বিখ্যাত নির্মাতা ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমা।

৫. গুডবাই বার্লিন (২০১৬)
লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট। এবার ‘গুডবাই বার্লিন’ সিনেমার প্রসঙ্গ। এই সিনেমার আরেকটি নাম (জার্মান) আছে। তার উচ্চারণ জটিলতার কারণে এখানে ইংরেজি নামটিই উল্লেখ করা হলো। গাড়ি চুরি করে ভিন্ন রকম মানসিকতার দুই কিশোর শহরে, পল্লীতে, সবুজ প্রান্তরে দিন রাত টোটো করে ঘুরে বেড়ায়। বাড়ি ফিরে কোনো এক বিশৃঙ্খল বিন্দুতে জীবনের মানে আচমকা উপলব্ধি করে তারা। মন ছুঁয়ে যাবার মতো ছবি।

শেষের কথা– সিনেমা দেখুন আর নাই দেখুন, সময় পেলেই ঘুরে বেড়ান। পয়সা জমিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ান। প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে পাড়ি জমান পাহাড়ে, পর্বতে, সাগরে অথবা মেঘের কিনারে। সঞ্চার করুন নতুন অভিজ্ঞতার ডালি। অনাঘ্রাতা ঘাসফুলের ঘ্রাণ নিন প্রাণ খুলে। আর বর্ণালি ভ্রমণে এয়ারফোনের দু’টো তার দুলতে থাকুক পাশাপাশি থাকা দুটো মানুষের কানে..।

/এএম

Exit mobile version