Site icon Jamuna Television

বিদেশিদের দেখাতেই দুই দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি: সুশীল সমাজ

বিদেশিদের দেখানোর জন্যই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে বলে মনে করেন দেশের সুশীল সমাজ প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, ক্ষমতা নয় বরং দেশ এবং দলের কথা চিন্তা করেই বড় দুই দলের সংলাপে বসা উচিত। কোনো কারণে সংলাপ না হলে দেশের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে বলেও শঙ্কা তাদের।

নির্বাচন সামনে রেখে এরইমধ্যে সরগরম দেশের রাজনীতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে এ নিয়ে দুই পক্ষই রয়েছে অনড় অবস্থানে। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই সরকার প্রধান থেকে শুরু করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বৈঠক করে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। তবে বিদেশীদের ধারাবাহিক এমন বৈঠকও অনড় অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে।

নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে দুই দলের এমন অনড় অবস্থান দেশের জন্য সুখকর নয় বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ ব্যাপারে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, আমরা সহিংসতার দিকে যেতে পারি। বর্তমানের আন্দোলন সহিংস রূপ নিতে পারে। যার পরিণতি কারও জন্যই মঙ্গলকর হবে না।

তিনি আরও বলেন, ১২ তারিখে যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে, এগুলো চাপে পড়ে করেছে। আমাদের দুটো দলই সুবোধ বালক-বালিকার মতো আচরণ করেছে কারণ, দর্শকের গ্যালারিতে বাংলাদেশিদের সাথে বিদেশিরাও ছিল। তাই বিদেশিদের জন্যই তারা এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মঞ্চস্থ করেছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাত্র দেড় দুই কিলো মিটারের ভেতর একদিকে শান্তি সমাবেশ এবং আরেকদিকে এক দফার সমাবেশ হচ্ছে, কিন্তু কোনো সংঘর্ষ হয়নি। এ অবস্থা থাকবে না। এটা ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে।

তার মতে, আওয়ামী লিগের পক্ষ থেকে ছাড় দেয়া সম্ভব। তাদের বলা উচিত, আমরা তোমাদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল এবং আলোচনায় বসা উচিত। দরকার হলে একাধিকবার বসতে হবে।

বিএনপির এক দফা দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, বিএনপির দাবি কখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবুও নির্বাচন করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে সংলাপে বসা উচিত।

বিদেশি বন্ধুদের সু-পরামর্শ অথবা দুই দলের শুভ বুদ্ধি উদয় হওয়ার মাধ্যমে সেপ্টেম্বর থেকেই রাজনীতির বরফ গলতে শুরু করবে বলে আশা এই দুই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের।

এটিএম/

Exit mobile version