Site icon Jamuna Television

ডেঙ্গু রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ডেঙ্গুতে গত একদিনে প্রাণ গেছে আরও ৬ জনের। হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগী ১ হাজার ৪২৪ জন। এবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনেকের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ আক্রান্ত হচ্ছে। তাই শক সিন্ড্রোমে প্রাণহানির সংখ্যাও বেশি।

এডিস মশার পরিবর্তিত চরিত্র আর ডেঙ্গুর পাল্টে যাওয়া ধরণ নিয়ে মুগদা মেডিকেলে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে গবেষক ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেছেন, দেশজুড়ে ডেঙ্গুর ৪টি সেরোটাইপ সক্রিয়। ডেঙ্গু আক্রান্তদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না। তাছাড়া, রক্তে প্লাটিলেট ১০ হাজারের কম না হওয়া পর্যন্ত অন্য কারো থেকে প্লাটিলেট নেয়ারও দরকার নেই। ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে এখন ‘পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি’ বলছেন গবেষকরা।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন পাবলিক হেলথ কনসার্ন।

ডেঙ্গু শনাক্ত ও চিকিৎসায় বেশ কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই ডেঙ্গু রোগীর। তাছাড়া, সবাইকেই প্লাটিলেটও নিতে হবে না।

বাংলাদেশ মেডিকেল জার্নালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, আমাদের প্রেশারটাকে মেনটেইন করতে হবে, প্ল্যাটিলেটটা অপরিহার্য না। রক্তক্ষরণ না হলে প্ল্যাটিলেট দেয়ার দরকার নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যাদের অবস্থা খারাপ তাদেরকেই ভর্তি করবো। সব রোগী আসলেই যে ভর্তি করতে হবে, এটার প্রয়োজনীয়তা নেই, তা মনে রাখতে হবে।

আক্রান্ত একজন থেকে মশা দিয়েই আরেকজনে ছড়ায় ডেঙ্গু জ্বর। তাই যে করেই হোক মশা থেকে দূরে থাকতে হবে সুস্থ্য ও আক্রান্ত সবাইকেই।

/এমএন

Exit mobile version