ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে মৃত্যু। গত ৬ মাসেই ছাড়িয়েছে আগের পাঁচ বছরের মৃত্যুর রেকর্ড। চিকিৎসা সেবা দিতে বাড়ানো হচ্ছে হাসপাতাল।
কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, কী কী সমস্যা হচ্ছে শরীরে- এসব নিয়ে চলছে গবেষণা। সরকারি তথ্যে দেখা যায়, এবার আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকরই বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছর। প্রাণহানিও ঘটছে বেশি এই বয়সসীমায়, ৪১ ভাগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, রক্তক্ষরণ বা হেমোরেজিক ফিভারে কমে যায় প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা। প্লাজমারও নি:সরণ ঘটে এসময়। এতে বিপজ্জনকভাবে কমে যায় রক্তচাপ।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক শেখ মইনুল খোকন বলেন, ৮৫ শতাংশের ক্ষেত্রে হয়তো যারা আগে থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার, ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম হচ্ছে। কিন্তু ১৫ শতাংশের ক্ষেত্রে প্রথমবার আক্রান্ত থেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার, ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম হতে পারে। এ বছর যে পরিমাণে ডেঙ্গু হলো এতে আগামী বছর হেমোরেজিক ফিভার, শক সিন্ড্রোম হওয়ার রিস্ক বেড়ে গেলো।
যারা মারা গেছেন, তাদের তথ্য ও রোগীদের নিয়ে করা জরিপ বলছে, ১৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে দেখা গেছে, প্লাটিলেট, প্লাজমা নিস্বরণ ও রক্তচাপ কমে যাওয়ার লক্ষণ। যা আগে এভাবে দেখা যায়নি। তখন যারা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুতে ভুগেছেন, কেবল তাদের মধ্যেই দেখা যেতো এসব।
শেখ মইনুল খোকন আরও বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে ১৬-৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তারমানে এই যে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা এখন বলতেছি হয়তো সব পানিতে ডেঙ্গু হয়, এর আগে বলেছি জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে হয় কিন্তু এবার ডেঙ্গু জুন মাস থেকেই চলে এসেছে।
আগে এটাও বলা হতো, শিশুদের মধ্যের ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুর হার বেশি। এবার হেমোরেজিকে ভুগছে ২ বছরের কম বয়সী শিশুরাও।
/আরআইএম
Leave a reply