Site icon Jamuna Television

হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া ১১ বর্ষা

বর্ষা ছিল তার প্রিয় ঋতু। উপন্যাসে লিখেছেন বর্ষার কদমফুলের কথা। আবার বর্ষায় চলে আসার কথাও লিখেছেন গানে। বর্ষার এই গল্পকথক ১১ বছর আগে নিজেও চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছেন শ্রাবণের অঝোর মেঘের ধারায়, নুহাশ পল্লীতে। সাথে নিয়ে যান মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। অবশ্য সবসময় বিশ্বাস করতেন এই ভালোবাসাটুকুই জীবন।

তিনি বাংলা সাহিত্যের নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ। প্রস্থানের আগে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। লেখনী-নির্মাণে উঠে এসেছে নৈসর্গিক দৃশ্য, জোছনা, বৃষ্টিসহ বাংলার চিরচেনা প্রকৃতির ব্যঞ্জনা। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য যেমন নতুন রূপ পেয়েছে, তেমনি উঠে এসেছে হিমু-মিসির আলি-রূপার মতো অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারা যান তিনি। আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। আর তাকে ছাড়াই চলে যায় ১১ বর্ষা। বাংলার এই ঋতু এলেই হুমায়ূনের বিদায়ের বিষাদ ছুয়ে যায় ভক্তদের মনে। তার মৃত্যুদিবসে নুহাশ পল্লীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের এই জাদুঘরকে স্মরণ করেন ভক্তরা।

হুমায়ূন আহমেদ শিল্প-সাহিত্যের বেশিরভাগ শাখায় কীর্তি রেখে গেছেন। লিখেছেন তিন শতাধিক গ্রন্থ। যার প্রায় সবই সাড়া ফেলেছে। আর তার সৃষ্ট প্রতিটি চরিত্র পাঠকের ভালোবাসার আঙিনায় সগর্বে ছিল।

শুধু কী সাহিত্য? নির্মাণ করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। ১৯৮৩ সালে ‘প্রথম প্রহর’ নাটক দিয়ে শুরু। দুই বছর পর ১৯৮৫ সালে ‘এইসব দিনরাত্রি’ ধারাবাহিক দিয়ে সাফল্যের আকাশ স্পর্শ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তারপরের গল্প তো কেবল নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার….।

একে একে প্রায় প্রায় নব্বইটি একক নাটক পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এগুলোর বেশিরভাগই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, পরিচালক হিসেবে বিভিন্ন বিভাগে তিনি মোট আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া এই কথা সাহিত্যিকের ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা।

/এমএন

Exit mobile version