Site icon Jamuna Television

মিয়ানমারে আবারও সামরিক জান্তার তাণ্ডব; বিদ্রোহী ও বেসামরিকদের অবস্থানে হামলা

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে আবারও অভিযান জোরদার করেছে সামরিক জান্তা। তাণ্ডব চলছে বেসামরিক বাসিন্দাদের অবস্থান লক্ষ্য করে। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বসতবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। রক্ষা পায়নি গির্জার মতো ধর্মীয় স্থাপনাও। স্কাই নিউজ, এপিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে সামরিক জান্তার নিপীড়নের এসব চিত্র।

অবশ্য, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে প্রাণ গেছে জান্তা সদস্যদেরও। এদিকে, সরকারি বাহিনীর তুলনায় সামরিক সক্ষমতায় দুর্বল হলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিদ্রোহীরা।

বিদ্রোহী কমান্ডার মাউই বলেন, ইউক্রেনীয়রা যেমন নিজেদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করছেন, আমরাও তেমনই নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। আমাদের লড়াই নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য, সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, জান্তা বাহিনী কতটা নির্মম নিপীড়ন চালিয়েছে। মাইলের পর মাইলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞেই তা স্পষ্ট। আহতদের চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের।

জালা নামের মিয়ানমারের এক স্বাস্থ্যকর্মী বলছিলেন, এসব দেখলে খুবই খারাপ লাগে। কিন্তু তবুও এখানে এদের সাহায্য করতে আসি। কারণ, এদের এই সাহায্যটা খুবই জরুরি।

গির্জার মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাইনি। এ প্রসঙ্গে সেন্ট ম্যাথিউস চার্চের যাজক ফাদার নোরেহ বলেন, গির্জার মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা যুদ্ধাপরাধের সামিল। কিন্তু সামরিক জান্তা এসবের কিছুরই ধার ধারে না। তারা পুরো বিশ্বকেই যেন মানতে চায় না। তাই আমাদের এত ভোগান্তি। আমাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। আমাদের ঘরবাড়ি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কোথায় যাবো, কি করবো জানি না।

গেলো সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনে আলোচিত হয় মিয়ানমার সংকট ইস্যু। বেসামরিকদের ওপর জান্তার নিপীড়ন বন্ধ, গণতান্ত্রিক ইস্যু ফিরিয়ে আনাসহ নানা সংকট সমাধানে নেইপিদোর ওপর চাপ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

/এমএন

Exit mobile version