Site icon Jamuna Television

ভারতকে ১২৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো পাকিস্তান ‘এ’ দল। প্রথমে ব্যাট করে তৈয়ব তাহিরের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৫২ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। ৩৫৩ রান তাড়া করার চাপ নিতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। ফলে ১২৮ রানের ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে পরাস্ত হয় ভারত।

শ্রীলঙ্কার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় ‘এ’ দলের অধিনায়ক ইয়াশ ধুল। ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু এনে দেন সাইম আইয়ুব ও শাহিবজাদা ফারহান।

সাইম ও ফারহানের উদ্বোধনী জুটি ছিল শতাধিক রানের। ১৮তম ওভারে ১২১ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হয় এই দুজনের জুটি। সাইম ৫১ বলে ৫৯ রানে থামেন। কয়েক ওভার পর রানআউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফারহান। ৬২ বলে ৬৫ রান করেন তিনি।

ওমর ইউসুফকে সঙ্গে নিয়ে তাহিরের ৩৭ রানের জুটি ভাঙতেই মিডল অর্ডারে বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। এরপর মাত্র ১০ বলে ৪ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান হারায় ৩ উইকেট। ১৮৭ রানে পাঁচ ব্যাটারকে হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে মুবাসির খানকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান তাহির। তাদের ১২৬ রানের জুটিতে তিনশ ছাড়ায় স্কোর। ৭১ বলে ১২ চার ও ৪ ছয়ে ১০৮ রান করেন তাহির। তাকে অনুসরণ করে টানা দুই ওভারে আরও দুই ব্যাটার বিদায় নেন। মুবাসির করেন ৩৫ রান।

এরপর শেষ ৩১ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান করে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩৫২ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রিয়ান পরাগ ও রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর।

৩৫৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি ভারতের। তবে দুই ওপেনার সাই সুদর্শন এবং অভিষেক শর্মার বিদায়ের পরপরই খেই হারায় ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সংগ্রহ ৬৪ রান। সাই সুদর্শন ২৯ রান করেও আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন অভিষেক। ৫১ বলে ৬১ রান করে অভিষেক বিদায় নিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত।

মিডল অর্ডারে অধিনায়ক ইয়াশ ধুলের ৩৯ রান ছাড়া সুবিধা করতে আর কেউ। শেষ দিকের ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে ভারত সবকয়টি উইকেট হারিয়ে বসে ২২৪ রানে। ৪০ ওভারে ভারতকে থামিয়ে দিয়ে ১২৮ রানের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। ২টি করে উইকেট নেন আরশাদ ইকবাল, মেহরান মুমতাজ ও ওয়াসিম জুনিয়র । ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মুবাশির খান।

/আরআইএম

Exit mobile version