চীনের প্রমোদতরী ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’র পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন

|

বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’। ছবি: চীনাডেইলি

চীনের অত্যাধুনিক বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’র পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) পরীক্ষামূলক সফল যাত্রা সম্পন্ন করে এ নৌযানটি। সপ্তাহখানেক আগে সাংহাইয়ের বন্দর ছেড়ে যাওয়া প্রমোদতরীটি আট দিনের পরীক্ষামূলক সফল যাত্রা শেষ করে নিজ বন্দরেই ফিরেছে। খবর গ্লোবাল টাইমসের।

মূলত পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এবং পর্যটন খাতকে আরও চাঙ্গা করতেই বিশালাকার এই জাহাজ তৈরি করা হয়েছে। নিজ দেশে এমন ক্রুজ শিপ নির্মাণকে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হবে এই প্রমোদতরী।

নিজস্ব প্রযুক্তিতে দেশেই প্রথমবারের মতো দানবাকৃতির এই জাহাজ নির্মাণ করেছে চীনের স্টেট শিপ বিল্ডিং করপোরেশন। বিশালাকার ক্রুজ শিপটির ওজন ১ লাখ ৩৫ হাজার টনের ওপর। দৈর্ঘ্য ১০৬১ ফুট, যা পাঁচ হাজারের বেশি যাত্রী বহনে সক্ষম। এছাড়া, বিশ্বের প্রথম জাহাজ হিসেবে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের আওতাধীন হবে অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি। বিমান বহনের সক্ষমতাও এই প্রমোদতরীকে দিয়েছে বিশেষত্ব।

১৬ ডেক বিশিষ্ট এ প্রমোদতরীতে রয়েছে থিয়েটার, রেস্তোরাঁ, কেনাকাটার দোকান, আর্ট গ্যালারি, ওয়াটার পার্কসহ অসংখ্য বিনোদনমূলক সুবিধা। পূর্ব ও পশ্চিম, উভয় সংস্কৃতির মানুষের উপভোগের বিষয়টি রাখা হয়েছে বিবেচনায়। ‘অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি’ বিশ্বের অন্যতম বড় বিলাসবহুল প্রমোদতরী।

চারটি টাগবোটের সহায়তায় বন্দর থেকে জাহাজটিকে ভাসানো হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষামূলক যাত্রাটি ছিল মূলত কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য, যা ডকে স্থির অবস্থায় বোঝা সম্ভব ছিল না। ১০০ মিটার গভীরতার পানিতে এর গতি কেমন হয় এবং যান্ত্রিক বিষয়গুলো ঠিক আছে কিনা, তা বুঝতে গভীর সাগরে জাহাজটি চালানো প্রয়োজন ছিল।

এই সফলতা দেশটির সমুদ্রে প্রমোদ ভ্রমণে মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত চীনকে প্রযুক্তিগতভাবে স্বনির্ভর করে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply