Site icon Jamuna Television

সংঘর্ষের সুযোগে ৪০০ বন্দি পগার পার!

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়া দলগুলোর সংঘর্ষের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কারাগার থেকে প্রায় ৪০০ বন্দি পালিয়েছে। সোমবার, প্রথম প্রহরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কারা কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যে রোববার ত্রিপোলির আইন জারা কারাগার থেকে পালিয়েছে এ বন্দিরা। জানা যায়, দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কারাগারেও। বেঁধে যায় দাঙ্গা। সেটি এতটাই তীব্র ছিল যে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে কারারক্ষীরা ফটক খুলে দিতে বাধ্য হন।

কারাগারটিতে শুধু পুরুষ বন্দিরা থাকে। এদের বেশিরভাগই সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির সমর্থক। ২০১১ সালে গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভে ওই বন্দিরা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়।

২০১১ সালের অক্টোবরে লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক গাদ্দাফির পতনের পর থেকে সেখানে ন্যাটো-সমর্থিত সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত লেগেই আছে।

রোববার ত্রিপোলিতে জরুরি অবস্থা জারি করে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার। গেলো সপ্তাহ থেকে কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। শিশুসহ ৪৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের দাবি, তাদের কোণঠাসা করার মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায় বিদ্রোহীরা। এদিকে, আন্তর্জাতিক মহল হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিগগিরই ত্রিপোলির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালি।

এ পরিস্থিতিতে, লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সবপক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমানের আহ্বান জানিয়েছেন।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version