Site icon Jamuna Television

সকালে লাশ দাফন, দুপুরে জানা গেলো জিপিএ ৫ পেয়েছিল মামুন

আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ বছর রংপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া আব্দুল্লাহ আল মামুনের জিপিএ ৫ পাওয়ার খবরে আনন্দ প্রকাশ করতে পারেননি তার সহপাঠী, শিক্ষক বা তার পরিবারের কেউই। কারণ, দুপুরে স্কুলে এসএসসি’র ফল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে মামুনের লাশ। 

শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় রংপুরের তারাগঞ্জের ডাংগিরহাট বামনদিঘি গ্রামে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মামুনকে। 

মামুনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই রক্ত শূন্যতায় ভুগছিল মামুন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে। এদিকে প্রিয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকাহত রংপুর জিলা স্কুলে তার সহপাঠী, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিনেও তাদের মনে নেই কোনো আনন্দ।

রংপুরের জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সাহিনা সুলতানা বলেন, আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালাম। প্রতিবছর রেজাল্টের দিন আমরা স্কুলে আনন্দ-উল্লাস করি। কিন্তু, আজ তার অনুপস্থিতিতে আমরা শোকাহত। খুব কষ্ট হচ্ছে, মনকে স্থির করতে পারছি না। সন্তানের মতো সাত বছর ধরে মামুনকে স্কুলে দেখভাল করেছি। আজ এমন খুশির দিনে সে নেই। নিজের ফলাফল দেখে যেতে পারলো না।
 
আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মোস্তফা জামান নিজেও একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি বলেন, আমার দুই ছেলের মধ্যে মামুন বড়। তার লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগ ছিল। ছেলেটা আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেল। বাবা আমার (মামুন) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে। সে জানতেও পারলো না। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।

/এসএইচ

Exit mobile version