Site icon Jamuna Television

কারাগারেই বসবে খালেদার দুর্নীতি মামলার আদালত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার হবে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগে দুদকের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ সাত মাস শুনানির দিন পেছানোর কারণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কালই শুনানি হতে পারে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে। এই প্রক্রিয়াকে আইনের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন—খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।

আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পাশাপাশি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলাটিও বকশীবাজারে অস্থায়ী আদালতেই চলছিল। এখন সেটি রায়ের কাছাকাছি পর্যায়ে।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে গত ৭ মাসে শুনানির দিন বারবার পিছিয়েছে এই মামলা। কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে বারবার জানিয়েছে, অসুস্থতাজনিত কারণে খালেদা জিয়াকে হাজির করা যাচ্ছে না। আর খালেদা জিয়ার হাজিরা ছাড়া মামলার বিচারকাজ চালানোর সুযোগও নেই। তাই সরকার এবার কারাগারেই মামলার বাকি কাজ করার ব্যবস্থা করছে।

কারাগারে এই মামলা চললে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটা হবে প্রথম নজির। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় অস্থায়ী জেলে আদালত চালানোর নজির আছে। যদিও খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বিষয়টিকে আইনের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে আছেন। অর্ফানেজ মামলাতেও তিনি জামিনে। তবে অন্য কয়েক মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যমুনা অনলাইন: কিউএস/টিএফ

Exit mobile version