Site icon Jamuna Television

পরীক্ষাগারে বেড়েছে ডেঙ্গু সন্দেহে রোগীর চাপ, আতঙ্কিত না হওয়ার নির্দেশনা

রাজধানীর পরীক্ষাগারগুলোতে ডেঙ্গু সন্দেহে রোগীদের চাপ বেড়েছে অনেক। সরকারি হাসপাতালগুলোতে যা গতবারের তুলনায় অন্তত পাঁচগুণ। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ডেঙ্গু পরীক্ষা হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি। জ্বর, ঠান্ডাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করতে আসছেন রোগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে নির্দেশনা মানলে ভয়ের কিছু নেই।

জেলা উপজেলায়ও পড়েছে ডেঙ্গুর থাবা। তাই, জ্বর-শরীর ব্যথা হলেই রোগ চিহ্নিত করতে পরীক্ষাগারে ছুটছে আতঙ্কিত মানুষ। তবে চাপ বেশি সরকারি হাসপাতালগুলোতে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিনের লম্বা লাইনের অন্তত ৮০ ভাগই ডেঙ্গু সন্দেহে আসা রোগীদের। টেস্ট করতে আসা একজন জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় দাঁড়িয়ে ৯টায় পেয়েছেন টাকা জমা দেয়ার সুযোগ। উপসর্গের ব্যাপারে আরেকজন রোগী জানান, জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথার কথা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেকে। শৃঙ্খলা বিনষ্টে দায়িত্বরতদেরও দুষলেন কেউ কেউ। একটি কাউন্টার বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন লাইনে দাঁড়ানো এক সেবাপ্রত্যাশী। অভিযোগ আসে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের নিয়েও। বহিরাগতদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো অপেক্ষমানদের আগেই তাদের সিরিয়াল দিয়ে দেয়ার কথাও শোনা গিয়েছে।

সরকারি হাসপাতালের মতো চাপ নেই বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। তবে গেলবারের চেয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার হার দ্বিগুণের বেশি। ল্যাবএইড, ইবনে সিনা, পপুলারসহ সুপরিচিত পরীক্ষাগারগুলোর তথ্য অনুসারে, প্রতিদিন অন্তত দেড়শো রোগী আসেন একেকটি শাখায়। সেই হিসেবে কয়েক হাজার মানুষ রাজধানীতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছেন প্রতিদিন।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

সরকারি মুগদা হাসপাতাল, কুর্মিটোলা, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একেকটিতে দিনে গড়ে ৮শ’ ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়। তবে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, এখানে ভর্তি হচ্ছে কম। কিন্তু ডেঙ্গু টেস্ট বেড়ে গেছে পাঁচগুণ। ইনডোরে যারা আছে তাদের যেমন পরীক্ষা করতে হচ্ছে, তেমনি আউটডোরে যারই ডেঙ্গু সন্দেহ করা হয় তারই পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের কিছু রুটিন রোগীও আছে যাদের অপারেশন হবে। অপারেশনের প্রস্তুতি হিসেবে কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। আগে থেকেই তরল খাবার খাওয়ানো হলে মৃত্যু ঝুঁকি এবং জটিলতার ঝুঁকি- দুটোই কম থাকে।

কেবল হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। সে হিসাবে, এবছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াইশো।

/এম ই

Exit mobile version