Site icon Jamuna Television

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা অধিনায়ক তামিম

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডেতেই সবচেয়ে সাবলীল বাংলাদেশ। যার প্রমাণ সবশেষ ওয়ানডে সুপার লিগের তিনে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। যার নেতৃত্বে ছিলেন তামিম ইকবাল খান।

বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড হাতে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এমন স্বপ্নের মাঝে বাঁধ সেধেছে বেরসিক ইনজুরি। ফলাফল অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হলো তামিম ইকবালকে।

বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে সফল দাবি করতেই পারেন তামিম। তার মেয়াদে ওয়ানডেতে ৩৭ ম্যাচ খেলে ২১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। জয়ের হার ৫৬. ৭।

যেখানে তামিমের চেয়ে এগিয়ে কেবল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার নেতৃত্বে ৮৮ ম্যাচ খেলে ৫০টিতে জিতেছিল টাইগাররা। জয়ের হার ৫৬.৮১। তামিমের চেয়ে জয়ের শতাংশ মাত্র দশমিক শূন্য ৬ বেশি।

এই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ইনজুরির কারণেই ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করার সুযোগ এনে দেয় তামিম ইকবালকে। সেবার ভারপ্রাপ্ত হিসেবে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা।

এরপর ২০২১ সালে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পান তামিম। ঘরের মাঠে প্রথম আসরেই বাজিমাত। উইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে অধিনায়ক হিসেবে উড়ন্ত সূচনা এই বাঁহাতি ওপেনারের।

এরপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ হারলেও শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল তামিমের দল। তবে অধিনায়ক তামিমের সবচেয়ে বড় সাফল্য দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টাইগারদের সিরিজ জয়। ২০ বছর অপেক্ষার পর প্রোটিয়াদের মাটিতে সিরিজ জয়ের হাসি হেসেছিল বাংলাদেশ।

যে জন্য ভারতকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৬ বছর। আর উইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিততে পারেনি। সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও নিজের অর্জনে তৃপ্তির হাসি হাসতেই পারেন তামিম ইকবাল।

/আরআইএম

Exit mobile version