Site icon Jamuna Television

‘অশেষ অর্থের’ হাতছানি উপেক্ষা করে ‘ফুটবলের চিত্র পাল্টানোর সুযোগ’ কেন বাছলেন মেসি

ফাইল ছবি

অন্য কোথাও থেকে ‘অশেষ অর্থের’ হাতছানি উপেক্ষা করে ইন্টার মায়ামিকে বেছে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের চিত্র পাল্টে ফেলার সুযোগ আছে এই বিশ্বকাপজয়ীর হাতে। এমনটি বলেছেন ইন্টার মায়ামির অন্যতম স্বত্বাধিকারী হোর্সে ম্যাস। গোল ডটকমের খবর।

সাতবারের ব্যাল ডি’অর জয়ী মেসির যখন পিএসজির সাথে যুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল, তার হাতে সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে ছিল বেশ কয়েকটি ক্লাবের নাম। বার্সেলোনায় স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন ঘটানোর কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন মেসি। মধ্য প্রাচ্য থেকেও ছিল বিশাল অংকের প্রস্তাব। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ড কিংবদন্তি ডেভিড বেকহামের সহ-মালিকানাধীন ক্লাব ইন্টার মায়ামিকেই বেছে নিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তিনি অনুসরণ করেছেন ‘আমেরিকান ড্রিম’। এই কাজে কেবল নিজের প্রোফাইল নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের খোলনলচে পাল্টে দেয়ার সুযোগ তার হাতে ছিল বলেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন বলে মন্তব্য হোর্সে ম্যাসের।

ইন্টার মায়ামির এই অন্যতম স্বত্বাধিকারী অফসাইড উইদ টেলর টুয়েলম্যান নামক পডকাস্টে বলেন, প্রায়ই লিওনেল মেসির সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। আমি তার কাছে জানতে চেয়েছি, কী চাও তুমি? তোমার স্বপ্ন কী? এটা জানতে চাওয়ার কারণ ছিল, আমরা বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে দলে ভেড়ানোর লড়াই করছিলাম। বিশ্ব ফুটবলের পাওয়ার হাউসগুলো ছিল। অন্যদিকে ছিল অঢেল অর্থের প্রস্তাব; যার কোনোটার সাথেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থায় আমরা ছিলাম না। তাই আমাদের এমন কিছুর প্রস্তাবই ওকে দিতে হতো যা কাজে লাগবে, যা অন্য কেউ ওকে দিতে পারবে না। এই দেশে ফুটবলকে পাল্টে দেয়ার সুযোগ আছে মেসির হাতে। পিএসজিতে থেকে গেলে ফুটবলকে পাল্টে দেয়ার সুযোগ পেতো না সে। বার্সার ফিরলেও তেমনটাই ঘটতো। সৌদিতে গিয়েও তা সম্ভব নয়।

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সাথে সাথেই সেখানকার তথাকথিত চতুর্থ জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের চিত্র অনেকটাই পাল্টে ফেলেছেন মেসি। প্রথম তিন ম্যাচে এই আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পাঁচ গোলে কেবল তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির অবস্থারই পরিবর্তন ঘটেনি, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শুরু হয়েছে মেসি-ম্যানিয়া। টম ব্র্যাডি, লেব্রন জেমস এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে মেসির ইন্টার মায়ামির ১০ নম্বর জার্সি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত জার্সি। আনুষ্ঠানিকভাবেই এখন এলএমটেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রীড়াঙ্গনের রাজা। হোর্সে ম্যাস বলেন, প্রতিযোগী হিসেবে লিওনেল মেসি অন্য পর্যায়ের। আমি খুব কমই দেখেছি ওকে। কিন্তু সেই ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলোতেও বুঝতে পেরেছি, সতীর্থদের সাথে অনুশীলনে সে যা করে তা একদমই অবিশ্বাস্য। আমাদের উচ্চাশা আছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে বলবো, এই ক্ষুদ্র সময়ের পরিচিতিতেই আমি মুগ্ধ। স্রেফ উড়ে গেছি!

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তিদের ছাপিয়ে জার্সি বিক্রির ‘কিং’ এখন মেসি

/এম ই

Exit mobile version