Site icon Jamuna Television

‘ন্যায় বিচার পাইনি, আশাও করি না’

ফাইল ছবি

ন্যায় বিচার পাইনি আর আশাও করি না, নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্থায়ী আদালতে শুরু হয় মামলার শুনানি। আইনজীবী না থাকায় খালেদা জিয়া নিজেই শুনানি করেন।

খালেদা জিয়া আদালতে আরও বলেন, তার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তিনি প্যারাল্যাইজড হয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে  বেলা ১২ টা ৪০ পর্যন্ত চলে শুনানি। পরে বিচারক খালেদা জিয়াসহ আসামিদের জামিন দিয়ে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার দিন ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ৬ মাস মামলার কার্যক্রম বন্ধ, তাই বিচার শুরু করা উচিত। আসামিপক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় আজও শুনানির দিন পেছানো হয়।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে সেখানেই দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি করার নির্দেশ দেয়।

যদিও এই প্রক্রিয়াকে আইনের পরিপন্থি আখ্যা দিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। সকালে তিনিসহ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জড়ো হন বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে।

আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, যেহেতু এই আদালতে মামলার কার্যক্রমের দিন ধার্য ছিল; তাই তারা সেখানেই এসেছেন। এখন নিয়ম মতো গেজেটের কপি দিয়ে পরিবর্তিত আদালতের কথা জানাতে হবে। তারপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পরে বকশীবাজারে আদালত পরিবর্তনের গেজেট লাগানো হলে সেখান থেকে চলে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আরেকটি ভবনের দোতলার একটি কক্ষে গত সাত মাস ধরে বন্দি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

 

Exit mobile version