Site icon Jamuna Television

ইরানে আবারও আলোচনায় হিজাব ইস্যু, হতে পারে কঠোর শাস্তির বিধান

ইরানে আবারও আলোচনায় হিজাব ইস্যু। ছবি: রয়টার্স

ইরানে আবারও আলোচনায় বাধ্যতামূলক হিজাব ইস্যু। নারীদের পোশাক নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপে পার্লামেন্ট বিতর্কে অংশ নেন আইনপ্রণেতারা। হিজাব না পরার দায়ে কঠোর শাস্তির পক্ষে কথা বলেন বেশিরভাগ এমপি। অন্যদিকে, পোশাক বিধির বিরুদ্ধে সরব মানবাধিকার কর্মীরা। খবর বিবিসির।

রোববার (১৩ আগস্ট) রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বিতর্কিত হিজাব আইন পর্যালোচনা করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইরানের আইনপ্রণেতারা। যার অর্থ সম্ভবত এই বিষয়ে কোনও প্রকাশ্য বিতর্ক হবে না। হিজাব না পরার দায়ে কঠোর শাস্তির বিধানের পক্ষে কথা বলেন বেশিরভাগ এমপি।

গত বছর হিজাব ইস্যুতে আটক তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর জেরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ সহিংসতার পর গত কয়েক মাস ধরেই ইরানের পোশাকবিধি কার্যকরে দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব। তবে আবারও শুরু হয়েছে তোড়জোর। সতর্কতামূলক টেক্সট মেসেজ পাঠানোসহ চলছে নানা ধরনের প্রচারণা।

আরও কঠোর নীতিমালা তৈরিতে বিল উত্থাপিত হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে। প্রস্তাবনাটির ওপর বিতর্ক ইস্যুতে গোপন ভোটাভুটির পর রোববার বিলের ওপর আলোচনা হয় অ্যাসেম্বলিতে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ৭২০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা কারাদণ্ডসহ বড় ধরনের শাস্তির বিধান কার্যকর হবে।

ইরানের পার্লামেন্ট সদস্য ঘোলাম্রেজা নূরি বলেন, সমাজে যথাযথ ইসলামিক পোশাক বিধিতে বিশ্বাসী আমরা। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন থাকা দরকার। আর তা ভঙ্গ করলে শাস্তিও পেতে হবে। তবে যা প্রয়োজন, এই বিলে তা নেই। ইরানের কালচারাল কমিশনের সেক্রেটারি তাবাতাবে বলেন, হিজাবের ধরন পরিবর্তন হতে পারে। তবে এটি বাতিল করা হবে না। ইসলামিক বিপ্লবের পর দেশে হিজাবের যে ধরন ছিল, তা এখন অনেক বদলে গেছে।

গত সপ্তাহে এক বক্তব্যে হিজাব নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। তবে পোশাক বিধির কড়াকড়ির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন অনেক মানবাধিকার কর্মী। মানবাধিকার কর্মী মরিয়ম নামাজি বলেন, তারা আবার চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে। মাহশার মৃত্যুর পর পোশাক বিধির বিরুদ্ধে গণ বিক্ষোভের কারণে হচ্ছে আরও কঠোর আইন। হিজাব ইস্যুতে লড়াই মানে এখানে শুধু হিজাব না, আরও অনেক বড় কিছু। ধর্মের নামে জনগণের অর্ধেক অংশের ওপর নীতিমালা চাপিয়ে দেয়াটা বৈষম্য। সবারই স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের অধিকার আছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর ঠিকভাবে মাথা না ঢাকার দায়ে আটক করা হয় ২২ বছেরর তরুণী মাহশা আমিনিকে। পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে দেশটিতে। পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। এবার হচ্ছে আরও কঠোর আইন।

/এএম

Exit mobile version