Site icon Jamuna Television

সঙ্গীত ব্যবহার করে দেয়া হয় চিকিৎসা, জর্ডানে আলোচিত ‘মিউজিক থেরাপি’

ছবি: সংগৃহীত

জর্ডানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের দেয়া হচ্ছে মিউজিক থেরাপি। সঙ্গীত ব্যবহার করে দেয়া এই চিকিৎসা বেশ কার্যকর বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। সন্তানদের মাঝে উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন অভিভাবকরাও। অটিজমে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আরও কয়েকটি দেশেও মিউজিক থেরাপির ব্যবহার রয়েছে। খবর পোস্টস্টারের।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম গান মানুষের নিত্যসঙ্গী। মন বিষণ্ন হলে মানুষ গান শোনে, আবার উৎসব উদযাপনেও এর বিকল্প নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে বিরক্ত হলেও সময় কাটাতে সঙ্গী হয় গান। এবার চিকিৎসায়ও সঙ্গীতের ব্যবহার শুরু করেছে জর্ডানের একটি ।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য মিউজিক পরিবেশন করেন স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের সঙ্গীত শিক্ষক দিমা সুইড্যান। থেরাপির অনুষঙ্গ হিসেবে কীভাবে সঙ্গীতকে ব্যবহার করতে হয়, স্কুলের শিক্ষকদের সেই প্রশিক্ষণ দেন তিনি। জর্ডানের এই গানের শিক্ষক দিমা সুইড্যান বলেন, সঙ্গীত বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্প, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের, বিশেষ করে অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গীত শিশুদের উপর দ্রুত এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, সঙ্গীত শুধুমাত্র বাণিজ্যিক পণ্য হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। চাপ ও উদ্বেগ মোকাবেলায় সঙ্গীত সাহায্য করতে পারে বলে তার মত।

জর্ডানে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকরাও। একজন শিশুর মা রিম আল ইফ্রাঞ্জি বলেন, আমি দুই সন্তানের মা। আমার দুই সন্তানের বিকাশ খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। অন্যদের চেয়ে দেরীতে কথা বলা শিখছে তারা। কিন্তু এই মিউজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি এবং সেশনের পর বড় পার্থক্য লক্ষ্য করেছি আমি। আগের চেয়ে দ্রুত নতুন শব্দ উচ্চারণ করতে শিখছে তারা। আমার ধারণা, এটি তাদের দ্রুত বিকাশে সহায়তা করছে।

মানিসক চাপ ও বিষন্নতা দূর করতেও সঙ্গীত বেশ সহায়ক বলে দাবি অনেক গবেষকের। বেশ কয়েকটি গবেষণায় গবেষকরা দাবি করেছেন, অটিজমে আক্রান্তদের মানসিক বিকাশে সঙ্গীতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এমনকি উন্নত বেশ কয়েকটি দেশে এরইমধ্যে মিউজিক থেরাপির ব্যবহারও শুরু হয়েছে।

/এএম

Exit mobile version