Site icon Jamuna Television

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন

ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তির সুবাদে টাইগারদের প্রস্তুতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারের ফিটনেসের পুরো তথ্য পাচ্ছেন ট্রেনার-ফিজিওরা। বিসিবির এক অফিশিয়াল ভিডিওর মাধ্যমে ক্যাটাপল্ট জিপিএস প্রযুক্তির সুবিধা ব্যাখ্যা করেছেন জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নিক লি।

গেলো মার্চ মাসে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসে ইংল্যান্ড। মিরপুরের একাডেমি মাঠে ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার, মার্ক উডরা অনুশীলনে নেমেছিলেন জিপিএস ট্র্যাকার পরে। প্রশ্ন উঠেছিল এমন প্রযুক্তিতে কেন পিছিয়ে বাংলাদেশ?

অবশেষে পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রি-এশিয়া কাপ অনুশীলন ক্যাম্পে টাইগারদের গায়েও উঠলো জিপিএস প্রযুক্তির ব্ল্যাক কিট। এই জিপিএস প্রযুক্তির নাম ক্যাটাপল্ট। যার মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারের হৃদস্পন্দন থেকে শুরু করে শারীরিক সক্ষমতার সমগ্র চিত্র সরাসরি বলে দেবে কম্পিউটার স্ক্রিন। বিসিবির একটি অফিশিয়াল ভিডিওর মাধ্যমে জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নিক লি জানিয়েছেন এই জিপিএস প্রযুক্তির বিস্তারিত।

ছবি: সংগৃহীত

নিক লি বলেন, আমরা ক্যাটাপল্ট জিপিএস সিষ্টেম লাগিয়েছি। আমাদের জন্য এর প্রধান সুবিধা হচ্ছে, এখন আমরা তথ্য পাচ্ছি খেলোয়াড়রা আসলে কি করছে। যেহেতু আমাদের খুব অভিজ্ঞ কোচদের গ্রুপ আছে। আগেও লম্বা সময় ধরেই রানিং করতো সবাই, কিন্তু তথ্যের দিক থেকে আমরা কিছু পেতাম না। এখন খেলোয়াড়রা কী করছে, কতটা দূরত্ব দৌড়াচ্ছে, কতটা গতিতে, কতটা তীব্রতা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এসব বুঝতে পারি। আমাদের কাছে হার্টরেট আসে। এতে করে নির্দিষ্ট দিনে একজন খেলোয়াড় কতটা ভার বহন করলো তা বোঝা যায়। এতে করে ফিজিও বা মেডিকেল দলের যে কেউ ওই খেলোয়াড় সম্পর্কে কোচকে সঠিক মতামত দিতে পারে। কোন খেলোয়াড়ের কতখানি ফিটনেস দরকার, এসব বুঝে সেভাবে অনুশীলন পরিকল্পনা করা যায়।

ছবি: সংগৃহীত

ক্যাটপল্ট জিপিএস সিস্টেমের বড় সুবিধা ক্রিকেটারের ফিটনেসের সবটাই জানতে পারেন কোচরা। এটি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে পেইসারদের ক্ষেত্রে। তাই এই প্রযুক্তির ফলে বাড়তি সুবিধা পাবেন অ্যালান ডোনাল্ড শিষ্যরা।

নিক লি আরও বলেন, ক্যাটাপল্ট সিষ্টেমের আরেকটি সুবিধা হলো পেস বোলিং অ্যালগরিদম। যখন একজন বোলার বল করে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয় যেমন রানআপ দূরত্ব, রানআপের গতি, ক্রিজের লোড। কোচরা বুঝতে পারে কী ঘটছে। এরপরে তারা যদি মনে করে কোনো বদল আনা দরকার সেটা করতে পারে। মূলত আমরা কি করছি তার সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।

কিছুটা দেরিতে হলেও ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে অবশেষে আরও একধাপ এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আসরকে সামনে রেখে এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আত্নবিশ্বাস বাড়াচ্ছে টাইগার শিবিরে।

/আরআইএম

Exit mobile version