Site icon Jamuna Television

দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ-আমেরিকা; দাবদাহ ও শুষ্ক বাতাসকেই দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা

দাবানলে পুড়ছে গোটা বিশ্ব। ছবি: সংগৃহীত

দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ থেকে আমেরিকা মহাদেশ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অঞ্চলগুলোয় মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহ এবং শুষ্ক বাতাসই দুর্যোগের কারণ।

রাজধানী এথেন্সের একাংশ ছাড়াও দাবানলে পুড়ছে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চল। এখন পর্যন্ত ২ জনের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে। চলতি সপ্তাহে এলাকাগুলোয় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে, এমন পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদফতরের। তুরস্কের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাটি রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ১৩টি জাতিগোষ্ঠীর বাসিন্দা। আগুন নেভাতে, প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে গ্রিসে পাঠানো হয়েছে দমকলকর্মী।

স্পেনের জনপ্রিয় পর্যটন নগরী টেনেরিফে ছড়িয়েছে দাবানলের আগুন। পুড়ে গেছে সাড়ে ২৯ হাজার একর পাইন বন। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে। কোন হতাহতের খবর মেলেনি। তবে ঝুঁকিতে রয়েছে ১৯টি লোকালয়। ফায়ার ব্রিগেডের চার শতাধিক কর্মী কাজ করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে।

দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যে জরুরি অবস্থা বহাল রেখেছে কানাডা সরকার। কারণ, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে নতুনভাবে আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা। ২৩৭টি জায়গায় সক্রিয় দাবানল। গত চারদিনে দুর্গত এলাকা থেকে সরানো হয় ২০ হাজার বাসিন্দাকে। এদিকে, দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট পোস্ট ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলায় প্রযুক্তি জায়ান্ট ‘মেটা’র ওপর ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

দাবানল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওয়াশিংটনে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ জনের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে। ভস্মীভূত হয়েছে ১৮৫টি ঘরবাড়ি-স্থাপনা। জোরপূর্বক সরানো হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে।
এদিকে, নিউজার্সিতেও দাবানলে পুড়ছে ২০০ একর অঞ্চল। রাজ্যটির বন বিভাগ বলছে, শুষ্ক বাতাস ও খরার কারণে আগুন ছড়াতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা।

শিল্প যুগ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর আবহমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ১ সেলসিয়াস বেড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর বড় উদ্যোগ না নিলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। গত বছর জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তন খরা বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং আগামী ২৮ বছরে দাবানলের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

/এএম

Exit mobile version