Site icon Jamuna Television

প্রিগোঝিনের মৃত্যুতে নড়বড়ে হতে পারে পুতিনের অবস্থান; বলছেন বিশ্লেষকরা

প্রিগোঝিন, উৎকিনের মৃত্যুতে ভবিষ্যত কী ওয়াগনারের? ছবি: রয়টার্স

একসময় দুজনে ছিলেন ঘনিষ্ঠ সহচর। বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছেন প্রিগোঝিন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মৃত্যুতে ইউক্রেন ও পশ্চিম আফ্রিকায় নড়বড়ে হতে পারে রুশ প্রেসিডেন্টের অবস্থান। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ নিয়েও। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছে বাখমুতে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে সেই লড়াইয়ের অগ্রভাগে ছিলো রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের নেতৃত্বে ইউক্রেনে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে এই ভাড়াটে সেনারা।

পশ্চিম আফ্রিকাতেও দাপট দেখিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। বিদ্রোহের পরও অঞ্চলটিতে রাশিয়ার অন্যতম ভরসা ছিলো প্রিগোঝিন। সবশেষ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনেও ওয়াগনার গ্রুপের ভূমিকা দেখেন অনেকে। অবশ্য শুধু প্রিগোঝিনই নয়, প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওয়াগনারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দিমিত্রি উৎকিনেরও।

বিভিন্ন যুদ্ধে রাশিয়ার সাফল্যের অগ্রভাগেই ছিলো দলটি। দুই শীর্ষ কর্মকর্তার মৃত্যু মস্কোর সামরিক শক্তির জন্য বড় ক্ষতি হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এদিকে বিশ্লেষকদের মত, প্রিগোঝিনের মৃত্যু ইউক্রেন ও পশ্চিম আফ্রিকায় পুতিনকে চাপে ফেলতে পারে।

বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু বোরেনে বলেন, ওয়াগনার গ্রুপ শুধু তাদের প্রিগোঝিনকেই নয়, হারিয়েছে শীর্ষ আরেক কর্মকর্তা দিমিত্রি উৎকিনকেও। এই দুইজনই মস্কো ঘনিষ্ঠ ছিলো একসময়। শুধু ইউক্রেনেই নয়, পশ্চিম আফ্রিকাতেও তাদের আধিপত্য ছিলো। তাদের মৃত্যু এই অঞ্চলগুলোতে নিশ্চিতভাবেই পুতিনের লক্ষ্য পূরণে বড় ধাক্কা।

ধারণা করা হচ্ছে, সরাসরি পুতিন অথবা তার ঘনিষ্ঠ কারও হাতেই উঠছে ওয়াগনারের দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে আশঙ্কা, আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বাহিনীটি। রাশিয়া ও বেলারুশের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর জন্য যা হতে পারে বড় হুমকি।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মেতিউস মোরাভিয়েৎস্কি বলেন, পুতিন ও তার লোকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ওয়াগনার গ্রুপ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। অবশ্যই এটি আগের চেয়ে বেশি ব্ল্যাকমেইল, হামলা, আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হবে। রাশিয়া ও বেলারুশের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে।

যদিও প্রিগোঝিনের মৃত্যুর পেছনে পুতিনেরই হাত আছে বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। এদিকে, ওয়াগনার নেতার আরেক শত্রু ইউক্রেনও নিজেদের এই দুর্ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

/এএম

Exit mobile version