Site icon Jamuna Television

প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি, প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য আটক

রিয়াজ রায়হান:

এসএসসি-এইচএসসি’র মতো পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এই চক্রের প্রতারকদের কারো পড়াশোনা প্রকৌশল শাস্ত্রে, কেউ আবার পেরোতে পারেনি উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডিও। কিন্তু অনলাইন জুয়ার টাকা জোগাড় করতে প্রতারণা করায় সবাই এক কাতারে। এরই মধ্যে এই চক্রের ৫ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে এসেছে অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেন্দ্রিক জুয়ার নানা কাহিনী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে প্রশ্নপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয় এই প্রতারক চক্র। এই বিজ্ঞাপন দেখে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করে অনেকেই। তাদের কাছ থেকে প্রশ্ন প্রতি নেয়া হয় নির্দিষ্ট অংকের অর্থ। সেই অর্থ আবার অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়ে চলে যায় দেশের বাইরে। মাধ্যম হিসেবে কাজ করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের কোতয়ালী ইউনিট। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেনের জন্য প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা যায় একজনের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে তা ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়ে চলে যায় দেশের বাইরে। এজন্য কমিশন পান প্রতারকরা।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে এমন বেশ কয়েকটি চক্র। অনলাইনে জুয়া বেশ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও মনে করেন তারা। এটি বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এনিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, বিভিন্ন শিক্ষিত-অর্ধ শিক্ষিত শ্রেণির ব্যক্তিরা এই প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থী আর তাদের লোভী অভিভাবকদের কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ হাতিয়েছে। কোনো ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি, কারণ তারাও সমান অপরাধী। আমাদের অফিসাররা প্রযুক্তি ও বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের আটক করে।

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বোকা বানাতে এসব চক্র সক্রিয় হয় বলে জানান কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।

এসজেড/

Exit mobile version