Site icon Jamuna Television

ইদলিবে রক্তের নদী বইতে দিতে চাইনি: এরদোগান

তেহরানে ত্রিদেশীয় সম্মেলনে রাশিয়া ও ইরান কর্তৃক তুরস্কের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, ‘ইদলিবে যে কারণেই হোক কোনো ধরনের হামলার পরিণতি ভয়াবহ রূপ নেবে। গণহত্যা হবে, মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’

সম্মেলন শেষে টিভি ক্যামেরার সামনে এরদোগান আরও বলেন, ‘আমরা ইদলিবে রক্তের নদী বইতে দিতে চাইনি। আমাদের সবার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই ইস্যুতে একটা যৌক্তিক পথ বের করতে হবে।’

তিনি আরও সতর্ক করেন যে, ইদলিবে যে কোনো ধরনের বিপর্যয় নতুন করে লাখো শরণার্থীকে তুরস্কের দিকে ঠেলে দেবে। ৩৫ লাখের মতো সিরিয়ান শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া দেশটি এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে অস্ত্রবিরতি ঘোষণায় তুরস্কের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ইরান ও রাশিয়া। বিদ্রোহীদের হঠাতে রুশ-ইরান-বাশার অক্ষ হামলা শুরু করলে প্রদেশটিতে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে ইতিমধ্যে আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘ।

বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধের তিন মূল নিয়ন্ত্রক তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের হাসান রুহানি শুক্রবার তেহরানে বৈঠক করেন।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইদলিবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালে রাশিয়ার পুতিন ও ইরানের রুহানি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

এরদোগান বলেন, সেখানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তুরস্ক অতিরিক্ত শরণার্থীর ঢল সামাল দিতে পারবে না।

পুতিন বলেন, উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে যুক্ত না করে সেখানে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা হবে অর্থহীন। আর রুহানি বলেন, সিরিয়াকে অবশ্যই তার ভূখণ্ডের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব নিতে হবে।

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশটিই এখন বিদ্রোহী এবং জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর শেষ ঘাঁটি হওয়ার কারণে অনেক ঝুঁকি নিয়েও সেখানে যুদ্ধ থেকে পিছু হটতে রাজি নয় সিরিয়া এবং রাশিয়া।

কিন্তু জাতিসংঘের হিসাবমতে, ইদলিবের জনসংখ্যা ২৯ লাখ। এর মধ্যে ১০ লাখই শিশু। তাই সেখানে বেপরোয়া হামলায় প্রাণহানি নিয়ে উদ্বেগ আছে।

Exit mobile version