Site icon Jamuna Television

বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়ছে বাংলাদেশের, মতামত বিশ্লেষকদের

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতেই ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় নতুন সদস্য নেয়া হয়েছে ব্রিকসে। তবে সেখানে বাংলাদেশের নাম আপাতত না থাকলেও ভবিষ্যতে থাকবে এমনটা প্রত্যাশা কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, নানা কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে বিশ্বে। কয়েকদিন পরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনেও অতিথি দেশ হিসেবে গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ।

সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা নীতির প্রস্তাব আর নিজস্ব রিজার্ভের গুরুত্বারোপ করে বেশ কিছু পদক্ষেপ আসে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে। সেখানে ৬টি নতুন দেশকে সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম। যা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ব্রিকস নিয়ে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, জোটের সদস্য না হয়েও কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু সুবিধা পাচ্ছি। কিন্তু এতে যুক্ত হতে পারলে এবং যদি এটি বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটার শক্তি আরও বেড়ে যাবে। তখন এটা থেকে আরও বেশি লাভ পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি না এটা পশ্চিমা বিরোধী কোনো জোট। কিন্তু পশ্চিমের সাথে নিজেদের শক্তিটাকে কাছাকাছি করে নেয়ার ব্যবস্থা এটা।

জি-২০ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাদেশের সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিকসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবার জি-২০ সম্মেলনে তিনি যোগ দেবেন। এগুলোই কিন্তু আমাদের পরিচায়ক, যে আমাদের অবস্থান দিনদিনে দৃঢ় হচ্ছে।

এদিকে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ব্রিকস নিয়ে বাংলাদেশে একদম হুলস্থূল চলছিল, যেন এই তো আমরা ব্রিকসের সদস্য হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল ব্রিকসের সম্প্রসারণে শুধু বাংলাদেশের নামই আছে, আর কোনো দেশ নেই। কাজেই এমন কথা মেনে নেয়া কঠিন যে বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখায়নি।

তিনি আরও বলেন, ব্রিকসের অরিজিনাল সদস্য যারা ছিল, তাদের সবার সম্মতিক্রমে এই সদস্য হতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে তাই নিয়ম। কারও আপত্তি থাকলে কেউ হতে পারবে না।

জি টোয়েন্টি সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের। একইসাথে জি টোয়েন্টি দেশগুলোর সাথে বৈঠক থেকে কতটা লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ, তাই দেখার বিষয়।

এটিএম/

Exit mobile version