Site icon Jamuna Television

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুয়ার খুলছে কাল, টোল ৮০-৪০০ টাকা

ফয়সাল মাহমুদ:

পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলের পর খুলছে আরেক মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ। এদিনই খুলে দেয়া হবে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রকল্পের বড় একটি অংশ। এ অংশে সর্বনিম্ন টোল ধরা হয়েছে ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা।

রাজধানীতে রাস্তার তুলনায় এখন যানবাহন কয়েকগুণ। তার ওপর প্রতিদিন রাস্তায় নামছে নতুন নতুন যানবাহন। গাড়ির তুলনায় সড়ক না বাড়ায় যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে তিলোত্তমা নগরী ঢাকা। এতো এতো হতাশার মাঝে আশা জাগাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

২০১১ সালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় হাতে নেয়া হয় প্রকল্পটি। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এরমধ্যে চলছে টোল আদায়ের টেস্টিং কার্যক্রম। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এই টোল প্লাজায় টোল দিয়ে সরাসরি চলে যাবেন ফার্মগেট। সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি।

এক্সপ্রেসওয়ে’তে ওঠা প্রতিটি যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে তুলে আনা হবে প্রকল্পে লগ্নিকৃত অর্থ। তাই এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার প্রতিটি র‍্যাম্পের প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে টোল প্লাজা। এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার জানান, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মোট ৬টি টোল প্লাজা আছে। প্রতিটিই ওঠার মুখে স্থাপন করা হয়েছে।

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে চলাচলের যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রথম শ্রেণিতে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল, ১৬ সিটের কম মাইক্রোবাস এবং তিন টনের কম হালকা ট্রাকের ক্ষেত্রে টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ছয় চাকা পর্যন্ত মাঝারি ট্রাকের টোল দিতে হবে ৩২০ টাকা। তৃতীয় শ্রেণিতে ছয় চাকার বেশি ট্রাকের জন্য টোল দিতে হবে ৪০০ টাকা। আর চতুর্থ শ্রেণিতে ১৬ বা তার বেশি আসনের সব ধরনের বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ টাকা।

অফ পিক আওয়ারে যেহেতু নিচে সড়ক ফাঁকা থাকে। এসময় যানবাহন টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে অনাগ্রহ থাকতে পারে। তাই পিক আওয়ার ও অফ পিক আওয়ারে আলাদা টোল নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এনিয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যাওয়ার ক্ষেত্রে উপযোগিতাটা মাথায় রাখতে হবে। গভীর রাতে বা খুব সকালে ফাঁকা রাস্তায় কেও আর টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যাবে না। তাই টোলের পরিমাণটা ফিক্সড না হওয়াই উচিত।

কর্তৃপক্ষ বলছে, গড়ে প্রতিদিন আট হাজার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করবে এই উড়াল সড়কে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। আর বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারের চুক্তি ২৫ বছরের। এতে নির্মাণকাল হিসেবে ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ বছর। আর বাকি সাড়ে ২১ বছর এক্সপ্রেসওয়েতে চলা যানবাহনে থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে লগ্নিকৃত অর্থ তুলে নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এসজেড/

Exit mobile version