Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির প্রতিবাদে ধর্মঘট ব্যবসায়ীদের

পাকিস্তানে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৩০০ রুপি ছাড়িয়েছে। প্রতিবাদে নেমেছে সাধারণ মানুষ। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে প্রতিবাদে নেমেছে সাধারণ মানুষ। ধর্মঘট পালন করছে দেশটির ব্যবসায়ীরা। খবর রয়টার্সের।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) করাচি, পেশোয়ার, লাহোরসহ বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। পেরিয়ে গেছে সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণায় অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়। বিদ্যুৎ বিল পুড়িয়ে ক্ষোভ ঝাড়ছে রাজপথে নামা হাজারও মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়েছে ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে অনেকে।

প্রতিবাদকারী একজন বলেন, বিদ্যুৎ বিলের হার অনেক বেশি। পেট্রোলের দাম আয়ত্তের বাইরে। আমরা শ্রমিক, দিনমজুররা স্মাল দেব কীভাবে? জিনিসপত্রের দাম দুইশ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আরেক প্রতিবাদকারী জানান, ১ লাখ রুপি দোকান ভাড়া দিয়ে যদি একই পরিমান অর্থ বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়, বাঁচব কীভাবে? সেজন্যই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি। রাজনীতিবিদরা যেন মূল্যস্ফীতির বিষয়টি নিয়ে ভাবে।

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩০০ রুপির ওপরে দাঁড়িয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুদিন আগে ভর্তুকি বা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। আইএমএফের সম্মতি না পাওয়ায় পেরিয়ে গেছে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইনও। এ অবস্থায় করাচি, লাহোর, পেশোয়ারসহ বহু এলাকায় ধর্মঘটে নামে খুচরা ও পাইকারি বাজার ব্যবসায়ীরা।

ভুক্তভোগী একজন বলেন, ধর্মঘটের চেয়ে রাস্তায় নামা উচিত। জনগণের ক্ষোভ শেষ সীমায় পৌঁছেছে, এই বার্তা শাসকদের দিতে চাই। আমাদের আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য করবেন না। নয়তো সরকার ও জনগণের মধ্যে লড়াই শুরু হবে। আরেক প্রতিবাদকারীর বক্তব্য, বিদ্যুৎ বিল বাড়ার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছি। ১৭ হাজার রুপি বিল হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল অথবা বাচ্চার স্কুলের বেতন, যেকোনো একটি দিতে হবে। নয়তো খাবারের পয়সা থাকবে না।

দেউলিয়াত্ব থেকে বাঁচতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত মানতে বাধ্য হয় অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে কর। কমানো হয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি। আমদানিকৃত তেলের চড়া দাম ও ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমায় নাগালের বাইরে চলে গেছে বিদ্যুৎ বিল।

/এএম

Exit mobile version