Site icon Jamuna Television

৭ উইকেটের হার দিয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইমাম উল হক ও রিজওয়ানের ফিফটিতে ৬৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৪৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গত ম্যাচের মতো এবারও ইনিংস সূচনায় পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। তবে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন তিনি। জ্বর সেরে দলে ফেরা লিটন কুমার দাস দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। চলতি টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার ধারা আরেকটু লম্বা করে স্রেফ ২ রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। ভালো শুরু করেও ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

শুরুর ধাক্কা সামলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন সাকিব, মুশফিক। তবে অন্যান্যদের মতো তারাও পরিস্থিতি বিবেচনা না করে ছুঁড়ে আসেন নিজেদের উইকেট। ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটিতে ৫৭ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব। ৪৬তম পঞ্চাশের ইনিংসকে ৬৪ রান পর্যন্ত টেনে নেন মুশফিক। দু’জনই ক্যাচ আউট হন বড় শট খেলার চেষ্টায়।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান যোগ করেন ১০০ রান। স্রেফ ৪৭ রানে শেষের ৬ উইকেট হারিয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে অল্পেই আটকে রাখার মূল কারিগর হারিস রউফ। স্রেফ ১৯ রানে তিনি নেন ৪ উইকেট। আরেক পেসার নাসিম শাহ নেন ৩ উইকেট।

১৯৪ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে খানিকটা চাপে রাখেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। চতুর্থ ওভারে উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ। শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফখর। তবে একটু সামনে ঝুঁকে সেটা লুফে নিতে পারেননি নাইম শেখ।

৫ম ওভারে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এক পাশের ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৫ মিনিট পর আবারও খেলা শুরু হয়। পাওয়ারপ্লে’র শেষ ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেুক থ্রু এনে দেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ফখরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি ২০ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটারের।

নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি বাবর আজমও। ১৭ রান করা বাবর তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি করেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। ইমাম ব্যক্তিগত ৭৮ রানে মিরাজের বলে আউট হলেও ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। যার সুবাদে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাবর আজমের দল। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

/আরআইএম

Exit mobile version