Site icon Jamuna Television

উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন নিয়ে তুলকালাম

ছবি: সংগৃহীত।

উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম সাবমেরিন জনসম্মুখে আনার পর থেকেই চলছে নানা বিশ্লেষণ-সমালোচনা। দেশটি এ ধরনের সমরাস্ত্র আধুনিকায়নের সক্ষতা অর্জন করায়, বৈশ্বিক নিরাপত্তা আরও ঝুঁকিতে পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্লেষকরা। খবর এপি’র।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সমরাস্ত্র আধুনিকায়নের নতুন ধারা শুরু হলো উত্তর কোরিয়ায়। এর সক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য গোপন রাখা হলেও, বিভিন্ন পশ্চিমা সংস্থার দাবি, এইট ফোর ওয়ান ডুবোজাহাজটি ব্যালিস্টিক, ক্রুজ এবং স্বল্পপাল্লার প্রচলিত মিসাইল বহনে সক্ষম। তাদের শঙ্কা ভবিষ্যতে আরও বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র জনসম্মুখে আনবে পিইয়ংইয়ং।

ছবি: নেভাল নিউজ।

এ বিষয়ে সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ শিন সিউং কি জানান, একটি সাধারণ সাবমেরিনকে পারমাণবিক ডুবোজাহাজে পরিণত করা হয়েছে। এতে ১০ মিসাইল লঞ্চ প্যাড রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব। এই পরিবর্তন আনতে তাদের ২ বছরের বেশি সময় লাগেনি। আর এটা মাত্র শুরু। এ ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্রে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে আরও প্রচেষ্টা চালাবে পিইয়ংইয়ং।

তবে প্রশ্নও উঠেছে, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে আর কেনইবা এ ধরনের সমরাস্ত্র তৈরি করছে পিইয়ংইয়ং। মার্কিন সামরাস্ত্র বিশ্লেষকরা বলছেন কৌশলগত কারণেই এ ধরনের অস্ত্রের আধুনিকায়ন অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া।

ইতোমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সিড সেইলার বলেন, নিষেধাজ্ঞা আর হুমকি-হুঁশিয়ারির কারণেই এখনও কোনো ভূখণ্ডে হামলার সাহস পায়নি পিইয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়া একটি অবরুদ্ধ বিচ্ছিন্ন দেশ। তারা যতই সামরিক আগ্রাসন দেখাক না কেন, এই বিচ্ছিন্নতার কারণেই তারা আগ্রাসন চালানোর সাহস পাবে না।

এর আগে, কৌশলগত পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এমন সাবমেরিন চালু করে উত্তর কোরিয়া। যার নাম দেয়া হয় ‘হিরো কিম কুন ওকে’।

/এআই/এটিএম

Exit mobile version