Site icon Jamuna Television

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে রাশিয়ার সমালোচনা না হওয়ায় হতাশ ইউক্রেন

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে তুমুল আলোচনা। সরাসরি রুশ আগ্রাসনের নিন্দা না থাকায় খুশি নয় ইউক্রেন। যদিও কিয়েভের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সম্মেলনের সাফাই গাইছে। আয়োজনকে সফল বলছে রাশিয়াও। ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’য় ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার নাম না থাকাকে নিজেদের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছে মস্কো। খবর রয়টার্সের।

৮৩ দফার ঘোষণাপত্রে জোর করে অন্য দেশের ভূখণ্ড দখলের নিন্দা জানালেও ইউক্রেন ইস্যুতে সরাসরি রাশিয়ার নাম উল্লেখ করে কোনো সমালোচনা করা হয়নি। আর তাতেই ক্ষেপেছে কিয়েভ। অন্যদিকে, মস্কো একে নিজেদের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছে। জি-টোয়েন্টি ঘোষণাকে মাইলফলক বলছে দেশটি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এবারের জি-টোয়েন্টি সম্মেলন পুরোপুরি সফল হয়েছে। দক্ষিণের নেতাদের সুসংহত অবস্থানের কারণে জি-টোয়েন্টির মূল এজেন্ডাকে ম্লান করার অপচেষ্টা রুখে দেয়া সম্ভব হয়েছে। গোটা সম্মেলনকে ইউক্রেনময় করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

কিয়েভ খুশি না হলেও সম্মেলনকে সফল বলছে ইউক্রেনের মিত্র পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানিসহ অন্যান্য দেশগুলো ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’র পক্ষে সাফাই গাইছে। তাদের দাবি, জি-টোয়েন্টি অর্থনৈতিক জোট হওয়ায় রাজনৈতিক ইস্যুতে খুব বেশি কথা বলার সুযোগ নেই।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, সত্যি বলতে, জি টোয়েন্টি রাজনৈতিক আলোচনার কোনো ফোরাম নয়। এরপরও এই জোটের ১৬ সদস্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও নিন্দার পক্ষে ভোট দিয়েছে। কাজেই দিল্লি ঘোষণা কোনোভাবেই রাশিয়ার কূটনৈতিক বিজয় নয়।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন, যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তারমধ্যে একটি হচ্ছে, ইউক্রেনের মতো দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা। যেকোনো দেশের সীমানা দখলে কারও বল প্রয়োগের পক্ষে নয় জোট। আমি আনন্দিত যে এখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রে অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে, যেকোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বৈশ্বিক শান্তি-স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার অনুরোধও জানানো হয়।

এটিএম/

Exit mobile version