Site icon Jamuna Television

রাশিয়ার অন্য দেশ নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়: ঢাকা-মস্কো ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র

‘রাশিয়া নিজের প্রতিবেশীদের ওপরই নিপীড়ন চালায়। তাই অন্য কোনো দেশ নিয়ে তাদের মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফরকালে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফর করেন সের্গেই ল্যাভরভ। সে সময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কয়েকটি দেশ নাক গলাচ্ছে। নির্দিষ্ট একটি দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে; যে আচরণ অগ্রহণযোগ্য।

ল্যাভরভের এই মন্তব্য নিয়েই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বিবৃতিতে করা হয় প্রশ্ন। যার উত্তরে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, রাশিয়ার প্রতি যথার্থ সম্মান রেখেই বলছি, যারা নিজের দুই প্রতিবেশীর ওপর আগ্রাসন চালায়, স্কুল-হাসপাতাল-আবাসিক স্থাপনায় দৈনিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, তাদের মুখে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলাটা বেমানান। এটা সের্গেই ল্যাভরভের নিজ থেকে করা সচেতন মন্তব্য হতে পারে না।

মিলারের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়টি। যেখানে বাংলাদেশকে পাশে চায় তার দেশ, দেন সেই ইঙ্গিতও।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত-উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে। এটাই অঞ্চলটি ঘিরে মার্কিন কৌশল ও অবস্থান।

ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে বাইডেন-হাসিনা বৈঠক প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, জি-২০ সম্মেলনের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন, সেটি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।

এছাড়া, সংবাদকর্মীদের গ্রেফতার, বিচার ও হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে মিলার বলেন, এর আগেও এ বিষয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্মোচিত হয় দুর্নীতি। জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত হয়।

/এমএন

Exit mobile version