Site icon Jamuna Television

শ্রীলঙ্কার ক্ষুদে ক্রিকেটারদের মুখে সাকিব-তাসকিন

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেটে সাকিব-তাসকিনদের জয়গান। কলম্বোর ক্ষুদে ক্রিকেটাররা বড় হয়ে কেউ হতে চান সাকিবের মতো অলরাউন্ডার কেউবা তাসকিনের মতো পেসার। লঙ্কান ক্রিকেটের আতুঁরঘর তাদের স্কুল ক্রিকেট। যেখান থেকে উঠে এসেছে ৯৬এর বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাসহ হালের দিনেশ চান্দিমাল। সাদা পোশাক আর মেরুন টুপিতে ব্যাট বল হাতে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে লঙ্কান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

গেল বছরের ঘটনা। ৩০ ওভারের ম্যাচে একাই ৪১৭ রান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ১৬ বছর বয়সী এক নারী ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব- ১৯ ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্টের এই খবর কলম্বো পেরিয়ে ঢাকায় চলে আসে মুহুর্তেই। সবাই আরও একবার বলে উঠলো, শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেট অনেক সমৃদ্ধ।

কিন্তু শুধু গল্প কিংবা খেলার পাতায় নয়। লঙ্কানদের স্কুল ক্রিকেট সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে হাঁটতে হবে কলম্বোর রাস্তায়। যেখানে হুঁট করেই আপনার চোখ মন দুটোই কেড়ে নেবে রাস্তার পাশে একটা স্কুল মাঠের সাদা পোশাক, মেরুন টুপি আর ব্যাট বল হাতে ভবিষ্যতের সাঙ্গাকারা জয়াবর্ধনেরা…এই যেমন সিসিসি স্কুল অফ ক্রিকেট।

শ্রীলঙ্কার বর্ষীয়ান কোচ নেলসন মেন্ডিস বলেন, ২৫ বছর আগে মাত্র ৬ জন ছাত্র নিয়ে আমি এই ক্রিকেট স্কুলটা শুরু করি। এখন সাড়ে তিনশরও বেশি ছেলে মেয়ে এখানে ক্রিকেট শেখে। আমরা ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডেরসহ অনেক স্কুলের সাথে আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্ট খেলি। আমার এখান থেকে ১১জন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। বর্তমানে খেলছে তিনজন কুশল পেরেরা, সাদিরা সামারাবিক্রামা আর ভানুকা রাজাপাকসে। আসলে ৯৬ এর বিশ্বকাপের পর থেকে শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেট অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ক্রিকেট লঙ্কানদের কাছে অন্যরকম এক আভিজাত্যের নাম। আর তাই তারা ছুটছে ‘স্কুল বয় ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার’ খেতাবের নেশায়। যা তাদের বানিয়ে দেবে একজন রানাতুঙ্গা, জয়সুরিয়া কিংবা মুত্তিয়া মুরালিধরন।

/আরআইএম

Exit mobile version