Site icon Jamuna Television

বিশ্বকাপে যারা ছড়াতে পারেন আলো!

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের আগে ঠিক কারা ফর্মে রয়েছেন? ব্যাটে-বলে কারা আছেন ছন্দে, কারা ছড়াতে পারেন আলো? ২০২৩ সালে ফর্মের বিচারে সেরা ব্যাটার ও বোলার কারা? শুভমান গিল-পাথুম নিসাঙ্কারা কি ধারাটা ধরে রাখতে পারবেন বিশ্বকাপে? কুলদীপ যাদব কিংবা মাহিশ থিকসানারও কি পারবেন স্পিনারদের দাপটটা ধরে রাখতে?

২০২৩ সালে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার শুভমান গিল। তরুন এই ওপেনার মাত্র ১৭ ম্যাচে করেছেন ১০২৫ রান। গড় ঈর্ষণীয় ৬৮.৩৩। সেঞ্চুরিও পেয়েছেন ৪টি। তাইতো বিশ্বকাপটা নিজের করে নেবার সামর্থ্য আর ফর্ম দুটোই আছে শুভমানের। বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়াদের মধ্যে বছরের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কা। ১৯ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি আর ৩১.৬৮ গড়ে ৮১৭ রান করেছেন এই ব্যাটার।

৭৪৫ রান করে তৃতীয় সেরা ব্যাটার পাকিস্তানের রান মেশিন বাবর আজম। এই বছর ১৬ ওয়ানেতে ৭৪৫ রান করেছেন পাকিস্তান দলপতি। তিন শতকে তার গড় ৪৮.৬৬। চতুর্থ সেরা ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল। মারকুটে মেজাজের এই ব্যাটার ১৫ ম্যাচে করেছেন ৬৪৮ রান। সেঞ্চুরি তিনটি আর গড় ৪৬.২৮

১৬ ম্যাচে ৬৪৪ রান করে বছরের সেরা ৫ এর শেষ ক্রিকেটার পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান। ৪৬ গড়ের পাশাপাশি নামের পাশে আছে তার তিনটি সেঞ্চুরি। যদিও সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও ভালো যাচ্ছে না ফখরের। এশিয়া কাপে হতশ্রী পারফরমেন্স করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

তবে সেরা ৫এ জায়গা না হলেও এই মুহুর্তে সবচেয়ে ভালো ফর্মে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টিম্বা বাভুমা। এই বছর ৯ ওয়ানডেতেে করেছেন ৬৩৭ রান। গড় সবচেয়ে বেশি ৯১.০০। ৯ ম্যাচের মধ্যে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি আর ২টি ফিফটি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাণ্ডারি হতে পারেন টপ অডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৩ সালে ১৪ ম্যাচে ৬২২ রান করে সেরা বছরের ব্যাটারের ৮ নম্বরে আছেন শান্ত।

ভারত বিশ্বকাপে দাপট দেখাতে পারে স্পিনাররা। বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়া দল গুলোর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে সফল বোলার ভারতীয় দলের স্পিনার কুলদীপ যাদব। ১৫ ম্যাচে ৩১ উইকেট পকেটে পুরেছেন কুলদীপ। ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার, সেটিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সফল বোলার লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকসানা। ১৫ ম্যাচে এই স্পিনারও নিয়েছেন কুলদীপের সমান ৩১ উইকেট। তার সেরা বোলিং ফিগার ২৫ রানে ৪ উইকেট।

তৃতীয় সেরা বোলারও শ্রীলঙ্কার। ইনজুরিতে এশিয়া কাপ মিস করা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এই লেগি ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৮ উইকেট। যার মধ্যে আবার তিনবার পার করেছেন এক মাচে ৫ উইকেট নেবার মাইলফলক। সেরা পাঁচের পরের দু’জনই পাকিস্তানি পেসার। ১৩ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে চার নম্বরে হারিস রউফের অবস্থান। একম্যাচ কম খেলে রউফের বোলিং পার্টনার শাহীন শাহ আফ্রিদিও নিয়েছেন ২৪ উইকেট।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বল হাতে সবচেয়ে বড় আস্থার নাম পেসার তাসকিন আহমেদ। সেরা ৫ বোলারের তালিকায় থাকতে না পারলেও ১১ ম্যাচে ২১ উইটে নিয়ে সাফল্যের বিচারে ২৩ সালে অষ্টম সেরা তাসিকন।

/আরআইএম

Exit mobile version