Site icon Jamuna Television

সিরাজের তোপে লজ্জার রেকর্ড শ্রীলঙ্কার

এশিয়া কাপের ফাইনালে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপের ফাইনালে তো বটেই, এই টুর্নামেন্টের যেকোনো ম্যাচ বিচারে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডে এখন দাসুন শানাকার দলের। মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তাণ্ডবে ম্যাচের প্রথম ৬ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। ম্যাচের তৃতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারানো লঙ্কানদের একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৭ ওভারে ২১ রানে শিকার করেছেন ৬ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ! এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। অপর উইকেটটি শিকার করেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। ফলাফল ৫০ রানেই সবকটি উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের।

ওয়ানডে সংস্করণে এতদিন এশিয়া কাপের ফাইনালে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৭৩ রানের। ২০০৮ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে এই লজ্জায় পড়ে ভারত। আর যেকোনো ম্যাচ বিচারে এতদিন এই টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৮৮ রানের। ২০০০ সালে এশিয়া কাপের সপ্তম আসরে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের (৯৪) রেকর্ডটিও টাইগারদের, প্রতিপক্ষ সেই পাকিস্তানই। এবার টাইগার এই লজ্জার রেকর্ডের হাত থেকে উদ্ধার করলো শ্রীলঙ্কা।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডের সাথেও অবশ্য লঙ্কানদের নাম জড়িয়ে আছে, তবে একটু অন্যভাবে। ২০০৪ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ৩৫ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। ২০২০ সালে একই রানে নেপালের বিপক্ষে লজ্জায় লাল হয় যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার নির্ধারিত সময়েই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এরপরই নামে বৃষ্টি। ফলে ৪০ মিনিট বিলম্বে সাড়ে তিনটার ম্যাচটি বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে শুরু হয়।

শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে লঙ্কানরা। বুমরাহর করা ইনিংসের তৃতীয় বলেই ব্যক্তিগত শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লঙ্কান ওপেনার কুশাল পেরেরা। এরপর দলের হাল ধরতে পারেননি পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আসালাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ও দাসুন সানাকাদের কেউই। ৬ ওভার শেষ না হতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন এই ছয় ব্যাটসম্যান। এরপর কুশল মেন্ডিস ও দুনিথ ওয়েলালাগে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সিরাজের তোপে সেটি হয়নি। লঙ্কানদের লেজটা মুড়ে দেন পান্ডিয়া।

Exit mobile version