Site icon Jamuna Television

রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন ন্যাটোর মহাসচিব

সহসাই শেষ হচ্ছে না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? ছবি: সিসিটিভিপ্লাস

সহসা শেষ হচ্ছে না ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব। তার বক্তব্য, জেলেনস্কি প্রশাসন অস্ত্র সমর্পণ করলে পড়বে অস্তিত্ব সংকটে। খবর এপির।

ছোট্ট গ্রাম আন্দ্রিভকা। কিন্তু কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের খুব কাছেই অবস্থান হওয়ায় বর্তমানে আলোচনার তুঙ্গে গ্রামটি। এ পরিস্থিতিতে আন্দ্রিভকার দখল নিয়ে চলছে মস্কো-কিয়েভের বাগযুদ্ধ। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা নস্যাতের দাবি করেছে রাশিয়া। অবশ্য বিলম্বিত হয়েছে ২৪টি বিমান ফ্লাইটের চলাচল। ইউক্রেনের দাবি, ফ্রন্টলাইনের গ্রামটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাইখাইলো ফেদোরভ বলেন, চলতি বছর ১০০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে ড্রোনের উৎপাদন। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকেও আমরা নজর দিচ্ছি। ইউক্রেনের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়াতে হবে। এর ফলে, রুশ ড্রোন ল্যানসেটের মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু খুঁজতে পারবো। সেগুলো ধ্বংস করাও সহজ হবে।

সামরিক জোট ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্য, শিগগিরই শেষ হবে না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, বেশিরভাগ যুদ্ধই শুরুর পর ধারণার তুলনায় অনেকদিন ধরে চলে। ইউক্রেনেও দীর্ঘযুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে হবে। শিগগিরই শান্তি ফিরুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে, যদি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয়রা লড়াই বন্ধ করে, তাহলে দেশটির কোন অস্তিত্বই থাকবে না। শুধু প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রাশিয়া অস্ত্র নামিয়ে রাখলে শান্তি ফিরবে।

এদিকে, পুতিন সরকারের শর্ত মানলে টানাপোড়েনের মধ্যেও ১৮ মাসের সামরিক অভিযানের ইতি টানতে চায় রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, সব পক্ষের প্রস্তাবনা খতিয়ে দেখছে রাশিয়া। সমঝোতা প্রক্রিয়ায় আগ্রহী সব দেশের প্রতিনিধিদের সাথেই সাক্ষাৎ করেছি। ভ্যাটিকান থেকে আবারও একটি দল আসছে মস্কোয়। তাদের সাথেও বসবো আলোচনায়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, রাশিয়ার কোর্টে সব বল নেই। মাঠে ইউক্রেন আর পশ্চিমারাও খেলছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সামরিক অভিযান বিষয়ক নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জানায়, আসন্ন শীত মৌসুমে ইউক্রেনের ওপর সামরিক অভিযানের মাত্রা বাড়াবে রাশিয়া। সেই লক্ষ্যে মজুদ করেছে বিপুল পরিমাণ ক্রুজ মিসাইল।

/এএম

Exit mobile version