Site icon Jamuna Television

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল ল্যাম্পেদুসায়, বেকায়দায় ইতালি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল সামলাতে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খাচ্ছে ইতালির সরকার। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীর প্রবেশের জেরে দেখা দিয়েছে এ সংকট। ৭ হাজার বাসিন্দার ছোট্টদ্বীপ ল্যাম্পেদুসায় গত এক সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বাধ্য হয়েই তাদের সিসিলি দ্বীপে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন।

ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি অভিবাসীকে রাখা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের খাবার, পানি, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হিমশিম অবস্থা স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর। এতে তৈরি হয়েছে তীব্র মানবিক সংকট।

এমন পরিস্থিতিতে অনেক অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যেই অপরাধ প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মারামারি, ভাঙচুর ও চুরির মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ড করছে তারা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ বন্ধে করেছে বিক্ষোভও। পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেলোনি প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন তারা।

স্থানীয় একজন বলেন, ইউরোপীয় কমিউনিটিকে জানাতে চাই, ল্যাম্পেদুসা আর অভিবাসীদের চাপ নিতে পারবে না। আমাদেরও সন্তানদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা আছে। এখানে ভবিষ্যতে তাদের সাথে কী হবে, তা আমরা জানি না। আরেক জন কড়াস্বরে বলেন, আর কেউ যেন ল্যাম্পেদুসায় না ঢোকে। আমরা আর কাউকে চাই না। সরকারকে বলতে চাই, আমরা বিরক্ত।

অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য অন্য কোনো দেশের সহায়তাকেও এই সংকট মোকাবেলায় বাধা বলে মনে করছে দেশটির ক্ষমতাসীন ডানপন্থী সরকার। এনজিওগুলোতে জার্মানির অর্থায়ন নিয়ে নাখোশ মেলোনি প্রশাসন। আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, এ বছর এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী পৌঁছেছে ইতালিতে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক সংকটের জেরে উন্নত জীবনের আশায় মানুষের মধ্যে ইউরোপে প্রবেশের প্রবণতা বাড়ছে।

/এএম

Exit mobile version