
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল। আর তখনই শুরু হয়ে যাবে ভোটের কাউন্টডাউন। আর তাতে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। উন্নয়নের ডাকঢোল পিটিয়ে চলছে ভোটার টানার সব আয়োজন।
তবে, এই ভোটযাত্রায় সঙ্গী হতে রাজি নয় দেশের আরেক বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। উল্টোরথে চলা বড় দুই দলের এমন আচরণে অনিশ্চিত আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। তাদের দৈনন্দিন চিন্তায় উঁকি দিচ্ছে সংঘাত, ভোগান্তির আশঙ্কা। দিনশেষে হানাহানি, রাজপথে রক্তের লড়াই কি তবে সমাধানের একমাত্র পথ?
নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান বলেন, ভূবন চন্দ্র শীলের ঘটনাটা দেখলাম আমরা। সে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে মারা গেলো। তাহলে অবস্থা যদি এমন হয়, ভোট দিতে গিয়ে দুই দলের মধ্যে মারামারি হলো, আর ভোটার মারা গেলো! জনগণকে সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের জানানো ও আশ্বস্ত করতে হবে, তোমরা ভোট দিতে আসো।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বললেন, আমাদের হাঙ্গামাগুলো কিন্তু নির্বাচনের আসল বিষয়গুলো নিয়ে না। আমাদের হাঙ্গামা হচ্ছে, নির্বাচনে কে কীভাবে জিততে পারে, এ নিয়ে। ভোটে অপরাধ ফৌজদারি, কিন্তু এটাকে আমরা নৈতিক অপরাধ মনে করি না।
পক্ষপাতহীন কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য সুনাম কুড়িয়েছে প্রতিবেশী ভারতের নির্বাচন কমিশন। কারও কারও মত, বাংলাদেশেও ইসির হাতে ক্ষমতা কম নয়, রয়েছে সদিচ্ছার ঘাটতি। কিন্তু দ্বিমত করছেন নিবাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ।
তিনি বললেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে গেলে যে পরিবেশ ও সহায়তা লাগবে এবং সহায়ক আইন লাগবে, তা তো নাই। একটা উদাহারণ দিই, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারির কর্তব্য হবে ইসিকে সহযোগিতা করা। না করলে কী হবে? তা তো বিধান নাই।
এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলগুলোর সদিচ্ছার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরও জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন। ইসির আইনি ক্ষমতার পাশাপাশি প্রায়োগিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে।
মুনিরা খান বলেছেন, নিজের স্বার্থে তারা যদি দেশের স্বার্থকে নষ্ট করে, এটা ঠিক হবে না। ক্ষমতা আছে, প্রয়োগের সাহস নেই। নির্বাচন কমিশনের বড় শক্তি স্বচ্ছতা। তারা যাই করে তা স্বচ্ছভাবে করতে হবে।
এছাড়া, নাগরিক সমাজের তাগিদ, ভোটের পরিবেশ উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। জনগণের ভোট নিতে গিয়ে জনমানুষের ভোগান্তি যেন না বাড়ে।
/এমএন
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply