Site icon Jamuna Television

খালেদার অনুপস্থিতিতে মামলা চলবে কিনা, ২০ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত

ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পুরাতন কারাগারে স্থাপিত আদালতের শুনানিতে আজও অংশ নেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি হাজির হতে অনিচ্ছুক বলে আদালতকে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলবে কিনা সে বিষয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেবেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ও তার আইনজীবীদের আদালত পরিবর্তনের বিষয়ে আইনগত ব্যাখার জন্য দিন ধার্য ছিল।

খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে তার আইনজীবীদের আবেদন প্রেক্ষিতে কারাবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে মৌখিকভাবে বলেছেন, এভাবে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছুক হলে ও মামলার ওপর দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী যুক্ততর্ক শুরু না করলে আদালত যেন শুনানির পর্ব সমাপ্ত করে রায়ের দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবারও এ মামলায় হাজিরা দিতে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে আসেননি বিএনপি চেয়ারপারসন। তার অনুপস্থিতিতে আদালত এ মামলার শুনানি করে আজকের দিন ধার্য করেন।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অপর আসামিরা হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version