Site icon Jamuna Television

নির্বাহী আদেশে বিদেশে যেতে হলেও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলেও আইনের প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাহী আদেশে বিদেশে যেতে গেলেও আইনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই নির্বাহী আদেশ দিতে হবে। আইনের বাইরে কোনো নির্বাহী আদেশ হতে পারে না। প্রয়োজনের তাগিদে নির্বাহী আদেশে বাইরে নেয়ার সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, দেশে সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে করলে সেটা খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি করে।

অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদনের মতামত আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে মতামত দিয়েছেন, সেটা হলো আইনের অবস্থান এবং আমি মনে করি, এটাই সঠিক।

এর আগে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে আবার জেলে যেতে হবে এবং আদালতে আবেদন করতে হবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনি জটিলতা আছে। তাই বিদেশ নিতে তার পরিবারের করা আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১২ জুন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।

/এএম

Exit mobile version