Site icon Jamuna Television

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভানুয়াতুতে পাচার ১০৭ বাংলাদেশির ভয়াবহ জীবনচিত্র

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে মানবপাচারের শিকার ১০৭ জন বাংলাদেশিকে দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। উন্নত জীবন এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করা হয় তাদেরকে। এখন বন্দি রেখে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে ভয়াবহ নির্যাতন। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় একটি দ্বীপে কীভাবে ১০৭ বাংলাদেশি দাস হয়েছিলেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটির প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন, ভানুয়াতুতে আটকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর শাহিন। তাদের ওপর চালানো নির্যাতন ও অত্যাচারের বিষয়টি উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

তিনি জানান, বন্দি বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এরপর বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ করলে, সহ্য করতে হতো ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বন্দিদের খাবার দেয়া হয় না, মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে।

নির্যাতনের কথা মনে পড়লে এখনও ভয়ে আঁতকে ওঠেন শাহিন। তিনি বলেন, আমি একটি জীবন্ত মরদেহ ছিলাম। বাংলাদেশের রাস্তা থেকে আমাকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ভানুয়াতুতে নিয়ে আসা হয় সামান্য খাবার ও ক্রমাগত ভয়ের মধ্যেই অমানুষিক পরিশ্রম করতে।

তিনি বলেন, আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। সব স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ধুলোয় মিশে গেছে।’

৫০ বছর বয়সী শাহিন জানান, ২০১৭-১৮ সালে মানবপাচারের শিকার হওয়া একদল বাংলাদেশির মধ্যে তিনিও একজন। যাদের ফাঁদে ফেলেন আন্তর্জাতিক পোশাক চেইনশপের মালিক হিসেবে পরিচয় দেয়া শিকদার সুমন। ২০২২ সালে সুমনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, দাসপ্রথা, অর্থ জালিয়াতি, হত্যার হুমকি এবং শ্রম নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

/এনকে

Exit mobile version