Site icon Jamuna Television

স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরি দিচ্ছিলেন তারা, ক্যামেরা দেখে লুকালেন টয়লেটে!

আব্দুল্লাহ্ তুহিন:

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে সয়লাব করেছেন তারা। সহজ সরল বেকার তরুণ-তরুণীর বানানো হচ্ছে টার্গেট। সে ফাঁদে পা দিয়ে তারা খোয়াচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। টিম যমুনার উপস্থিতি টের পেয়ে সেই চাকরিদাতা শুরু করলেন লুকোচুরি খেলা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায় চলছে এ কার্যক্রম। এমনই একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে রাজধানীতে। উত্তরার একটি ভবনের কয়েকটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে তারা চাকরি দেয়ার নামে চক্রটি প্রতারণা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

অনুসন্ধানের সুবিধার্থে চাকরি প্রত্যাশী সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখানে গিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভালো বেতনের কথা বলে তারা চাকরিপ্রার্থীদের আকৃষ্ট করে। এরপর চাকরির ট্রেনিং, জামানত, খাবার ইত্যাদি নানা বিষয়ের কথা বলে নেওয়া হয় টাকা।

চক্রটি ‘বি-এলার্ট ‘ সিকিউরিটি সার্ভিস নাম দিয়ে কৌশলে চাকরির প্রার্থীদের সিভিল এভিয়েশন, থার্ড টার্মিনাল , যমুনা গ্রুপ, চায়না প্রজেক্টসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানিতে ভুয়া নিয়োগ দিচ্ছে। যমুনার অনুসন্ধানী টিম আসার খবরে প্রতিষ্ঠানের কথিত ডিএমডি আনোয়ারা কানম পালানোর চেষ্টা করে। শুরু হয় কথিত কর্মকর্তাদের ছোটাছুটি। কেউ দরজা বন্ধ করে কেউবা লুকিয়েছেন টয়লেটে।

কথা বলার এক পর্যায়ে অনুসন্ধানী টিমকে আটকে রাখার চেষ্টা করে তারা। নাজেহালের আভিযোগ এনে তাদের নিজস্ব লোকজনকে খবর দেয়া হয়। এসময় ভুক্তভোগীরা ডিএমডির কাছে তাদের টাকা ফেরত চায়।

কথিত ডিএমডি আনোয়ারা খানম ও তার স্বামী রেজাউল হককে এর আগেও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিলো আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশতাক আহমেদ বলেন, সুনির্দিষ্ট ভুক্তভোগী যারা তারা যদি আমাদের কাছে আসে, আমরা তাদের বিষয়টাকে আমলে নিয়ে অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

/আরএইচ

Exit mobile version