Site icon Jamuna Television

চার সেঞ্চুরির ম্যাচে পাকিস্তানের ৬ উইকেটের জয়

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। সেই সাথে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়েছে বাবর আজমের দল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কুশল মেন্ডিস ও সাদেরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ইমাম উল হক ও বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ১০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। সেই সাথে ওয়ানডে বিশ্বকাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখলো ‘মেন ইন গ্রিনরা’।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভারতের হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেয়া ৩৪৫ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে পাকিস্তান। ইমাম উল হক ১২ ও বাবর ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেটে ১৭৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। মূলত  তাদের এই জুটিতেই প্রাথমিক চাপ সামলে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান।

৩২তম ওভারে মাধুশাঙ্কার বলে চার মেরে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন আবদুল্লাহ শফিক। ১০৩ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করে পাথিরানার বলে হেমন্তর দুর্দান্ত এক ক্যাচে আউট হন শফিক। ভেঙে যায় ১৭৬ রানের দুর্দান্ত জুটি। শফিক ফেরার পর সৌদ শাকিলকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে আগাতে থাকেন রিজওয়ান। শফিকের পর তিনিও তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও ওয়ানডেতে নিজের ৩য় সেঞ্চুরি। ৩০ বলে ৩১ রান করে থিকশানার বলে আউট হন সৌদ শাকিল।

তবে ইফতিখারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ঠিকই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রিজওয়ান। পাকিস্তান পায় ৬ উইকেটের স্বস্তির জয়। রিজওয়ান ১২১ বলে ১৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও ১০ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ইফতিখার অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে মাধুশাঙ্কা ২টি, পাথিরানা ও থিকশানা ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে হারায় শ্রীলঙ্কা। হাসান আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪ রান করা কুশল। এরপর কুশল মেন্ডিস ক্রিজে নেমেই  পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ১০২ রান তোলেন কুশল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দু’জন বল খেলেছেন ৯৫টি। এরপরের জুটিটা ছিল আরও কার্যকর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে মাত্র ৬৯ বলে ১১১ রান তোলেন কুশল। শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলী, শাদাব খানদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বোলিং করেও এই দুজনকে থামাতে পারেননি পাকিস্তানি অধিনায়ক। এই দুজনের ব্যাটেই মূলত শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহ নিশ্চিত হয়েছে।

৭৭ বল খেলে ১৪টি চার ৬টি ছক্কায় ১২২ রান করে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। ৮৯ বল খেলে ১১ চার ২ ছক্কায় ১০৮ রান করেন সামারাবিক্রমা। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ৫১ বলে ৭টি চার ১টি ছয়ে ৬১ রান করেছেন। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।

পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৭১ রান খরচায় চার উইকেট নেন হাসান আলী। এছাড়াও ১০ ওভারে ৬৪ রান খরচায় দুই উইকেট পান হারিস রউফ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি ৯ ওভারে ৬৬ রান খরচায় নেন ১টি উইকেট।

/আরআইএম

Exit mobile version