Site icon Jamuna Television

খালেদার নাইকো মামলা: বিদেশি সাক্ষী আনার অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিদেশি সাক্ষী আনার অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। বুধবার (১১ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যরিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি অভিযোগ করেন, এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে নিয়মিত সশরীরে উপস্থিত থেকে নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। দুদকের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেলসহ রাষ্ট্রযন্ত্র উঠে পড়ে লেগেছে।

অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সেন্ট্রাল অথরিটির জুরিসডিকশন ও আর্টিকেল ৬৪ অনুয়ায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল দেশের যেকোনো আদালতে যেতে পারেন। নাইকো দুর্নীতি মামলাটির কালক্ষেপণের জন্যই সাক্ষ্যগ্রহণকেন্দ্রিক এই আবেদন করছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন– তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এছাড়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

/এমএন

Exit mobile version