Site icon Jamuna Television

প্রসূতি মায়ের অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের রায়

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে নীতিমালাটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশনের নিবারণের লক্ষ্যে গাইড লাইন তৈরি এবং ৬ মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে বলেন আদালত।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেনো অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। এরই প্রেক্ষিতে আজ এ রায় ঘোষিত হলো।

২০১৯ সালের ২১ জুন বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলছে বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, এতে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে খরচের ভার বহন করতে হচ্ছে।

এসজেড/

Exit mobile version