Site icon Jamuna Television

ভৈরবে ট্রেনের সংঘর্ষ: একটি পরিবারের কেউই বেঁচে রইলো না

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুজন মিয়া (৩৫) রাজধানী ঢাকায় ভ্যানগাড়িতে করে ডাব বিক্রি করতেন। বাস করতেন মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায়। ডাবের ব্যবসায় যে আয় হতো তা দিয়ে চলতো তাদের চারজনের সংসার। গত শুক্রবার একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার (২৩ অক্টোবর) কর্মস্থলে ফিরতে ট্রেনে রওনা দিয়েছিলেন। তবে তার আর ফেরা হলো না।

সোমবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় মারা গেছেন সুজন মিয়া। তার সঙ্গে মারা গেছেন তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৩০) এবং দুই ছেলে সজীব মিয়া (১৪) ও ইসমাইল (১০)। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পরিবার এবং জেলা প্রশাসন।

নিহত সুজনের ভাই স্বপন মিয়া জানান, তিনিও একই ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সময় তিনি সামনের বগিতে ছিলেন সেজন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন।

এর আগে, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ ভৈরব জংশনের আগে জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় যাত্রীবাহী এগারোসিন্দুর ট্রেনের সাথে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাণ হারান ১৭ জন। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফায়ার সার্ভিস।

/এনকে

Exit mobile version